সিমলা:হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনে রেকর্ড ভোট পড়ল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭৪.৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। এই হিসেব বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। সেজন্য চূড়ান্ত ভোটদানের হার আরও বেশি হতে পারে।

এর আগে ২০১২ বিধানসভা ভোটে ৭৩.৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৪.৪৫ শতাংশ।

রাজ্য বিধানসভার ৬৮ টি আসনে ৬০ জন বর্তমান বিধায়ক সহ ৩৩৭ প্রার্থীর ভাগ্য এদিন নির্ধারিত হল।

শাসক কংগ্রেস ও বিরোধী বিজেপি-উভয় শিবিরই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। বিজেপি নেতা অনিল বালুনির দাবি, তাঁদের দল ৬০-এর বেশি আসনে জয়ী হবে। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা এক অঙ্কে এসে পৌঁছবে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস তাদের দলকে সমর্থনের জন্য ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। আইসিসি-র মিডিয়া প্যানেলিস্ট অখিলেশ প্রতাপ সিংহের দাবি, কংগ্রেসই ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছে।

বিদায়ী বিধানসভায় কংগ্রেসের ৩৫ এবং বিজেপির ২৮ বিধায়ক রয়েছেন।

তবে ভোটের ফল বার হবে পাক্কা ৪০ দিন পর, সেই ১৮ ডিসেম্বর। আগামী মাসে গুজরাত ভোট, একইসঙ্গে দু’রাজ্যের ফল বার হবে।

৮৩ বছরের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের পক্ষে এই ভোট অগ্নিপরীক্ষা। পরপর ৮ বার তিনি হিমাচল বিধানসভায় গিয়েছেন, ৭ বার মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। বীরভদ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, এটাই তাঁর শেষ ভোট, এরপর থেকে রাজ্য কংগ্রেসের দায়িত্ব নেবেন তাঁর ছেলে বিক্রমাদিত্য।

তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এবার কংগ্রেসের পক্ষে ভোট বৈতরণী পার হওয়া মুশকিল। জোরালো প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া তো রয়েছেই, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। জয়ের গন্ধ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দলীয় সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ একের পর এক প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীকে দিয়ে এ রাজ্যে প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। তাদের আশা, এবার পাহাড়ি এই রাজ্য বার করে নেওয়া যাবে হাতের মুঠো থেকে।