নয়াদিল্লি: কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে তাঁর মা, স্ত্রীকে দেখা করতে দেওয়া হলে তাঁরা পাকিস্তানে যাওয়ার পর তাঁদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা সুনিশ্চিত থাকবে কিনা, সে ব্যাপারে পূর্ণ গ্যারান্টি চাইল ভারত। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ, চরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সে দেশের সামরিক আদালত। ভারতের আবেদন মেনে গত মে মাসে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় হেগের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত। মানবিকতার খাতিরে কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে দিতে তাঁর মায়ের জন্য ভিসা চেয়েছিল ভারত। পাকিস্তান কুলভূষণের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকে দেখা করতে দেবে বলে গত ১০ নভেম্বর জানায়। গত সপ্তাহে কুলভূষণের সঙ্গে তাঁর মা-কে দেখা করতে দেওয়ার আবেদনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় ইসলামাবাদ।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে পাকিস্তানকে আরও বলা হয়েছে, কুলভূষণের মা, স্ত্রীকে সেখানে থাকাকালে যেন কোনও জেরা বা হেনস্থা করা না হয়।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার জানান, পাকিস্তানে থাকার সময় কুলভূষণের মা, স্ত্রীর সঙ্গে সর্বত্র ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশনের এক কূটনীতিককে থাকার অনুমতি দিতে হবে। কুলভূষণের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের সময়ও তাঁকে থাকতে দিতে হবে। তিনি একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, পাকিস্তান কুলভূষণের সঙ্গে তাঁর মা, স্ত্রীকে দেখা করতে দিচ্ছে বলে কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্খনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবে না। কুলভূষণকে সাজানো অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়েছে, যা প্রহসনে দাঁড়িয়েছে। তাঁর বিচারের ক্ষেত্রে বৈধ প্রক্রিয়াও মানেনি পাকিস্তান।

দিনতিনেক আগে ভারত পাকিস্তানের কুলভূষণের স্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার প্রস্তাবের ব্যাপারে জবাব পাঠায়। ভারত এখন ওপারের উত্তরের অপেক্ষা করছে বলে জানান কুমার।
পাকিস্তান কুলভূষণের স্ত্রী ও মায়ের মসৃণ সফরের আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি জানান, নিরপরাধ ওই ভারতীয় নাগরিককে পাকাপাকি ছাড়িয়ে আনার লক্ষ্যে পূর্ণ উদ্যমে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

পাকিস্তান বারংবার কুলভূষণকে ইসলামাবাদের ভারতীয় কনস্যুলেটের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার আবেদন নাকচ করে। চরবৃত্তিতে দোষীদের এই সুযোগ দেওয়া যায় না বলে দাবি করে তারা।
গত মাসে পাক সেনা জানিয়েছিল, তারা কুলভূষণের ক্ষমাভিক্ষা চেয়ে পেশ করা আর্জির ব্য়াপারে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তারা।