মোরাদাবাদ: উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে ৪৬ বছর বয়সী এক ওয়ার্ড বয়ের মৃ্ত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় জেলা হাসপাতালের ওই ওয়ার্ড বয়তে ১৬ তারিখ করোনা টিকা দেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, টিকা দেওয়ার পর থেকেই তাঁর শরীর খারাপ হতে শুরু করে।

মৃত ওয়ার্ড বয়ের নাম মহীপাল সিংহ। তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গতকাল মোরাদাবাদ জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, টিকা দেওয়ার আগে মহীপালের ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়নি। তাঁর মৃত্যুর পর সন্তপ্ত আত্মীয়দের সান্ত্বনা দিতে তাঁদের বাড়ি আসেন মোরাদাবাদের মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিক এম সি গর্গ। তিনি জানিয়েছেন, মহীপালের বুকের টানের সমস্যা হচ্ছিল, শ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হয়। এরপরই দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

এবিপি আনন্দের সঙ্গে কথাবার্তায় মহীপাল সিংহের ছেলে বিশাল অভিযোগ করেছেন, তাঁর বাবার মৃত্যু করোনা টিকা দেওয়ার কারণেই ঘটেছে। শনিবার রাত থেকেই তাঁর শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয়। সকালে জ্বর আসে। যাঁরা টিকা দিচ্ছেন, এ জন্য তিনি তাঁদের দায়ী করেছেন। মহীপালের আরও এক আত্মীয়েরও একই অভিযোগ। তিনিও বলছেন, করোনা টিকা দেওয়ার কারণেই মহীপালের মৃত্যু হয়েছে। আগে তাঁর শরীর এতটা খারাপ ছিল না কিন্তু টিকা দেওয়ার পর থেকে অসুস্থ  হয়ে পড়েন তিনি। টিকা প্রয়োগের আগে কোনওরকম ডাক্তারি পরীক্ষাই হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

চিকিৎসকরা অবশ্য দাবি করেছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সিএমও বলেছেন, শনিবার টিকা দেওয়ার পর মহীপাল পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন, নিজের কাজকর্মও ঠিকঠাক করছিলেন।

মোরাদাবাদ জেলায় ৬টি কেন্দ্র খুলে করোনা টিকা দেওয়া চলছে। করোনা টিকাকরণের প্রথম দিন এখানে ১০০ থেকে ১৫০ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখানে এমন মানুষও টিকা নিতে আসেন, আগে যাঁরা করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন, এখন সেরে উঠেছেন।