পানাজি: সেনা সংক্রান্ত কোনও অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। ছিলেন ছোট্ট গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। সেই তাঁকেই হঠাৎ একদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে বসিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। মনোহর পর্রীকর স্বীকার করেছেন, প্রথম দিন অফিসে এসে তিনি ভয়ে কাঁপছিলেন। যদিও কাউকে সেটা বাইরে থেকে বুঝতে দেননি।


গোয়ার পানাজিতে বিজেপির বিজয় সংকল্প র‌্যালিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনি সেনা অফিসারদের পদ সম্পর্কেও জানতেন না। গোয়ার মানুষ হিসেবে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার খুব একটা সুযোগ হয়নি তাঁর। ১৯৬১-তে গোয়াকে পর্তুগীজ দখলমুক্ত করার সময় একবারই সেনা ঢুকেছিল সমুদ্র তীরবর্তী এই ভূখণ্ডে। ১৯৬৫ বা ৭১-এর যুদ্ধের কথা শুনেছেন। কার্গিল যুদ্ধের সময় স্লোগানও দিয়েছেন কিন্তু যুদ্ধ কী আর তার জন্য ঠিক কেমন প্রস্তুতি দরকার, তার বিন্দুবিসর্গ জানতেন না তিনি।

পর্রীকরের কথায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি দেখেন, অস্ত্র কারখানা পুরোপুরি ফাঁকা, সেনার স্বাধীনভাবে কাজ করার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে দেশের সরকার। তাঁর মন্তব্য, দু’বছর ধরে এই মন্ত্রক সামলে তিনি বিশেষ কিছু করতে পারেননি, শুধু সেনাকে বলেছেন, কেউ যদি হামলা চালায়, আপনাদের নিজেদের ইচ্ছেমতো জবাব দেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।

আর এই স্বাধীনতার সুফল দেখতেই পাচ্ছেন দেশবাসী। পর্রীকরের মন্তব্য, যখনই দেশের ওপর হামলা চলছে, সেনারা মুখের মত জবাব দিচ্ছেন-তা সে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকই হোক বা সীমান্তে গুলিবর্ষণ। ফলে এখন শত্রুকেই এসে শান্তির ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে।