নয়াদিল্লি:  দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে ফাঁসানোর জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল সিবিআই। বাধ্য হয়ে তাঁকে স্বেচ্ছা অবসর নিতে হল। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন কেজরীবালের দফতরের বিদায়ী সচিব রাজেন্দ্র কুমার।


১৯৮৯ সালে আইএস পাশ করেন রাজেন্দ্র কুমার। সম্প্রতি দিল্লির মুখ্য সচিবকে চিঠি লিখে রাজেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, তিনি যেভাবে সিস্টেম, প্রোটকল, প্রশাসনের কাছে নিজের মামলায় অসম্মানিত হয়েছেন, সেভাবে আর কখনও হয়রান হতে হয়নি তাঁকে তাঁর এই দীর্ঘ কেরিয়ারে।

প্রসঙ্গত, গত মাসেই সিবিআই রাজেন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় চার্জশিট পেশ করে। রাজেন্দ্র কুমারের অভিযোগ এই মামলার তদন্ত চলাকালীন তাঁকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা একাধিকবার বলেছে, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে, যদি কেজরীবালকে তিনি ফাঁসিয়ে দেন।

শুধুমাত্র মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পর্যন্ত বাধ্য করা হয়েছে এই মামলার বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীকে, দাবি রাজেন্দ্র কুমারের। যাঁরা প্রথমে বয়ান দিতে রাজি হয়নি, তাঁদের বেধড়ক মারধরও করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেকের আঘাত গুরুতর।

গত বছর যখন রাজেন্দ্র কুমারকে গ্রেফতার করে সিবিআই তখন তিনি কেজরীবালের দফতরে প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি পদে কাজ করতেন। এরপর তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। প্রসঙ্গত, রাজেন্দ্র কুমারের সমস্যার শুরু যখন ২০১৩ সালে প্রথম কেজরাবীল তাঁকে ডেকে পাঠান তাঁর অধীনে কাজ করার জন্যে।

রাজেন্দ্র কুমারের স্বেচ্ছা অবসরের সিদ্ধান্তের ঘোষণার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে মোদীকে আক্রমণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কেন এত ভয় পাচ্ছেন?

এদিকে কেজরীবালের দফতরের বিদায়ী সচিবের সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে সিবিআই। পাল্টা সিবিআইয়ের দাবি, রাজেন্দ্র কুমারকে কার্যত তাঁর দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে আম আদমি পার্টির প্রধানকে ফাঁসানোর জন্যে চাপ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে গত মাসে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। এখন এধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তিনি কার্যত একটি বিচারাধীন মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এমনকি তারা এও দাবি করে, এই মামলার কোনও প্রত্যক্ষদর্শীর ওপর কোনওধরনের প্রভাব বিস্তার করা হয়নি রাজেন্দ্র কুমার বা কেজরীবালকে ফাঁসানোর জন্যে। এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন, দাবি সিবিআইয়ের।