পঞ্জাব থেকে প্রতি বছর বড় সংখ্যক যুবক যুবতী সেনাবাহিনীতে নাম লেখান। সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক গোটা পাকিস্তানকে পুরোপুরি নড়িয়ে দিয়েছে, তারা এখনও সেই ‘শক’ সামলে উঠতে পারেনি। পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় সেনা কতটা শক্তি ধরে। তাঁর কথায়, পেশওয়ারে যখন স্কুলে জঙ্গি হামলা হয়, প্রত্যেক ভারতীয় দুঃখিত হয়েছিলেন। পাক জনতার তাদের শাসকদের বলা উচিত, ভারতের বিরুদ্ধে নয়, যুদ্ধটা হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে, জাল নোটের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তিনি তোলেন সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি প্রসঙ্গ। বলেন, ভারতের কৃষকরা যাতে তাঁদের প্রাপ্য জলের একটি বিন্দু থেকেও না বঞ্চিত হন, তা নিশ্চিত করবে তাঁর সরকার।
স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে নোট বাতিলের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, কালো টাকা ও দুর্নীতি দেশের মধ্যবিত্তকে এতদিন ধরে লুটে এসেছে, গরিবকে বঞ্চিত করেছে তাঁদের অধিকার থেকে। তাঁদের নিজেদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই এখন তাঁর লক্ষ্য। মধ্যবিত্ত শ্রেণি যাতে শোষিত না হন, গরিবরা যাতে তাঁদের প্রাপ্য পান, তা নিশ্চিত করতে তিনি যা করার করবেন। কালো টাকায় ইতি টানা আশু প্রয়োজন। দুর্নীতি দমনে তাঁর সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, নির্বাচন তাঁর কাছে গুরুত্ব পায় না। মানুষের উন্নতি নিয়ে তাঁর চিন্তা অনেক বেশি। নোট বাতিলে সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও মানুষ যেভাবে এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন, সে জন্যও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।