সিমলা: আগামী বছরে গুজরাতের সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হতে চলেছে হিমাচল প্রদেশে। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে সরকার গড়ার পর মঙ্গলবার এই পাহাড়ী রাজ্যে প্রথম পা রেখে প্রত্যাশা মতোই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ তুললেন নরেন্দ্র মোদী। মান্ডি জেলায় পরিবর্তন সমাবেশে ইজরায়েলি সেনার সঙ্গে একাসনে বসালেন ভারতীয় জওয়ানদের। ইজরায়েলি সেনার মতোই দক্ষ সাফল্যের সঙ্গে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো ভারতীয় সেনা, এই বার্তা দিয়ে বললেন, গোটা বিশ্ব এখন আমাদের সেনাদের বীরত্ব নিয়ে চর্চা করছে। আগে আমরা ইজরায়েলি বাহিনীর সাহসের কথা শুনতাম। কিন্তু এখন সবাই জেনে গিয়েছে, ভারতীয় সেনাও কম যায় না।

প্রসঙ্গত, উরিতে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় ১৮ সেনা জওয়ান হত্যার বদলা নিতে ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বরের মাঝের রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৫০ সন্ত্রাসবাদীকেও খতম করে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই অবশ্য ওই অপারেশনের কৃতিত্ব দাবি করায় বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রী।



ঘটনাচক্রে নির্মম, কঠোর হাতে সন্ত্রাস দমন অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে ইজরায়েল। যেসব দেশ তাদের শত্রু, প্রতিপক্ষ, তারা ছাড়াও সন্ত্রাসবাদীদের একেবারে নিশানা করে সামরিক অভিযান চালিয়ে নিকেশ করায় খুবই সিদ্ধহস্ত ইজরায়েলি সেনা।

তাদের পাশে ভারতীয় জওয়ানদের বসিয়ে মোদী কি ভোটের আগে সেনা পরিবারগুলির মধ্যে ভাবাবেগ তৈরির চেষ্টা করলেন সুকৌশলে? কেননা সভায় তিনি এও বলেন, মান্ডি সাহসীদের জন্মভূমি, এই জেলার প্রতিটি পরিবারের একজন সেনাবাহিনীতে আছেন। মান্ডিকে ‘মিনি-কাঁসি’ বলেও উল্লেখ করেন। বলেন, এমন জায়গায় নত মস্তক হয়ে তিনি খুশি যা একইসঙ্গে ‘দেবভূমি’, ‘বীরভূমি’-দুইই।

মোদী এদিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি দায়বদ্ধতার কথা জানাতে গিয়ে দাবি করেন, ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রাক্তন সমরকর্মীদের জন্য এক পদ, এক পেনসন বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল, কিন্তু তাঁর সরকারই এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।