গুয়াহাটি: অসমে ক্ষমতায় আসছেন। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী। দেশের উত্তরপূর্বে এই প্রথম কোনও রাজ্যে মসনদে আসছে তাঁর দল বিজেপি। এহেন সর্বানন্দ সোনোয়াল তাঁর সামনে অগ্রাধিকারের ইস্যু কী কী, জানাতে গিয়ে বলছেন, অনুপ্রবেশ রোধ, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সোনোয়াল বলেন, আমরা অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত সিল করে দেব। তবে এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যে একটা চ্যালেঞ্জ, তাও মানছেন তিনি। তাঁর নতুন সরকারের সামনে বৃহত্তর অসমীয় সমাজের স্বার্থরক্ষাই গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি।


সোনোয়ালকে সামনে রেখেই অসম দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। তাঁর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-রা। তাতেই সাফল্য এসেছে। এজন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অসমের জয়কে ‘ঐতিহাসিক’, ‘দৃষ্টান্তমূলক’ বলেছেন মোদী। সোনোয়ালের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। ট্যুইটে লিখেছেন, অসমবাসীর স্বপ্ন-আকাঙ্খা পূরণে, প্রগতির পথে রাজ্যের উন্নয়নের যাত্রাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে যা যা সম্ভব, সব করবে বিজেপি।

সোনোয়ালের মতে, মানুষ কংগ্রেসের ওপর বিরক্ত এবং তারা বদল, সুশাসন চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানুষ আমাদের জোটকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা এমনই এক জোট চাইছিলেন। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে, হিন্দু বা মুসলিম, যা-ই হোন, রাজ্যের বৈধ বাসিন্দাদের স্বার্থ রক্ষা করা। অসমীয়া, বিহারী মারওয়াড়ি, বাঙ্গালি, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ-সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর অসমীয়া সমাজকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের চলতে হবে একসঙ্গে, থাকতে হবে, লড়তেও হবে।

এ ব্যাপারে ‘বৈধ’ ভারতীয় নাগরিকদের নামের তালিকা তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।

তাঁর সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানিয়ে সোনোয়াল বলেন, বড় চ্যালেঞ্জ অনুপ্রবেশ। এটা জাতীয় ইস্যুও। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেওয়া। কর্মসংস্থানের মতো আরও নানা ইস্যুও আছে।

প্রসঙ্গত, বিজেপি এবার অসমে ক্ষমতা দখলের কৌশল হিসাবে কার্যত সেখানকার সব আঞ্চলিক দলকে নিয়ে জোট গড়ে। তাদের মূল প্রতিপক্ষ ছিল কংগ্রেস, এইউডিএফ।