নয়াদিল্লি: উরিতে সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে। এই হামলার পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। সেনা ঘাঁটিতে এই হামলার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের দাবি বিভিন্ন মহলে উঠেছে। এদিন সেনাবাহিনী সাফ জানিয়েছে, সীমান্ত পারের সন্ত্রাসবাদের জবাব দেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। একইসঙ্গে সেনা বলেছে, যে কোনও ধরনের আগ্রাসন ও হিংসার ঘটনার পাল্টা জবাব দেওয়ার কাঙ্খিত ক্ষমতা তাদের রয়েছে। এ ব্যাপারে যে ব্যবস্থা গ্রহণ উপযুক্ত মনে হবে, সেনা তাই-ই করবে। মিলিটারি অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেনেন্ট জেনারেল রণবীর সিংহ এ কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, উরি হামলার পর অনেক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পক্ষে সওয়াল করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মিলিটারি অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেনেন্ট জেনারেলের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।লেফটেনেন্ট জেনারেল বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখাই হোক, বা দেশের অভ্যন্তর, সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত পরিস্থিতির মোকাবিলায় যথাসম্ভব সংযম বজায় রেখে চলেছে সেনা। যদিও এ ধরনের জঘন্য হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা সেনার রয়েছে।


এ ধরনের হামলার জবাব যখন ও যেখানে খুশি দেওয়ার অধিকার সেনার রয়েছে বলেও লেফটেনেন্ট জেনারেল এই মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩-র ৮ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক জওয়ানকে গলা কেটে হত্যার পর একই ধরনের মন্তব্য করেছেন তত্কালীন সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিংহ। তিনি বলেছিলেন, আমরা উপযুক্ত জবাব দেব..নিজেদের পছন্দমতো স্থানে ও সময়ে আমরা এর জবাব দেব।
চলতি বছরের শুরুতেই পঠানকোটে ভারতের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রিকরও।
যদিও সূত্র উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, উরি হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সেনা। কিন্তু কখন ও কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এই মুহূর্তে জানানো হবে না।
সেনার ওই পদস্থ সূত্র পিটিআই-কে আরও জানিয়েছেন, সেনা চায় অতর্কিতে অভিযান চালাতে। এখন কোনও অভিযান চালালে তা অতর্কিতে করা সম্ভব নয়। কারণ, এখন কোনও অভিযান হলে পাকিস্তান আগে থেকেই পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত থাকবে। এ ব্যাপারে ভারতীয় সেনা কৌশল রচনা করছে এবং সঠিক সময়ে এই পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হবে।