নয়াদিল্লি: শুধু নিম্ন বা মধ্যবিত্ত নয়, বিত্তশালী সহ সমাজের সবস্তরই পণপ্রথা ছড়িয়ে পড়েছে। একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনটাই জানাল দিল্লির একটি আদালত।


পণের দাবিতে স্ত্রীকে মেরে ফেলার মামলায় এক ব্যক্তি ও তার পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অভিযোগকারীদের দাবি ছিল, তাঁরা মহিলার পরিবারের চেয়ে বেশি ধনী। ফলে, নিহতের থেকে পণ চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।


যদিও, সেই দাবি খারিজ করে দেয় আদালত। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুনেনা শর্মা বলেন, এমন কোনও নিয়ম নেই যে অর্থবানরা লোভের ঊর্ধ্বে। এখন সমাজের সব স্তরই পণপ্রথার বলি হচ্ছে।


মামলা নিয়ে বিচারক জানান, বিয়েতে যৌতুক হিসেবে একটি গাড়ি পাওয়া সত্ত্বেও, তা পছন্দ না হওয়ায় ক্রমাগত নিহতের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শুধু তাই নয়, নিজেদের আর্থিক ক্ষমতা আস্ফালন দেখাতে দামী গাড়িও কেনে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর সেই বাড়তি টাকার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে নিহতের ওপর।  অবশেষে, বাধ্য হয়ে আত্মঘাতী হন বধূ।


আদালতের মতে, শুধু শারীরিক নিগ্রহ নয়, মানসিক নির্যাতনও ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য। কোনও ব্যক্তিকে তাঁর ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, ক্রমাগত কুকথা, সবসময় পণের দাবি তোলার ফলে একজন ব্যক্তিসত্ত্বায় আঘাত করে।


একইসঙ্গে, চড়-থাপ্পড় মারা, চুল টেনে দেওয়া বা ঠেলে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনায় শরীরে দাগ পড়ে না ঠিকই, কিন্তু, নির্যাতিতার মনে গভীর রেখাপাত করে। আর এসব করা হয়েছে বলেই নির্যাতিতা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন।