নয়াদিল্লি: গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারের রায়কে স্বাগত জানাল কেন্দ্র। তবে সর্বোচ্চ আদালতের ৯ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় সম্পর্কে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের দাবি, গোপনীয়তার অধিকার চূড়ান্ত নয়, তার ওপর যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ চাপানো যেতে পারে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।


সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, সংসদে আধার বিল পেশ করে সরকার যে কথা বলেছিল, তাতেই সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গোপনীয়তাকে যুক্তিগ্রাহ্য বিধিনিষেধের অধীন মৌলিক অধিকার বলে দেখা উচিত।

সু্প্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ আজকের রায়ে সর্বসম্মতিক্রমে গোপনীয়তা রক্ষা মৌলিক অধিকার বলে জানিয়েছে। সরকার আগে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছিল, ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি দেশের সংবিধানে।




২০১৬-য় সংসদে তত্কালীন আইনমন্ত্রী অরুণ জেটলি যা বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নির্যাসে তাকেই অনুমোদন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ৯ বিচারপতির বেঞ্চ গঠনের অনেক আগেই সরকার আধার আইন চালুর ২১ অনুচ্ছেদের আওতায় গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার বলে স্পষ্ট মেনে নিয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন বিচারপতির রায়ের অংশ পড়ে শুনিয়ে তিনি দাবি করেন, তাঁরাও এটা মেনে নিয়েছিলেন যে, গোপনীয়তা কখনই চূড়ান্ত অধিকার নয়, তার ওপর যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ থাকা উচিত।




সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর কংগ্রেস সহ বিরোধীরা সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, বিজেপির নজরদারির মাধ্যমে মানুষের ওপর দমনপীড়নের আদর্শকে খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাল্টা রবিশংকর বলেন, কংগ্রেসের লোকজন আমাদের আক্রমণ করছে, বামেরাও সঙ্গে যোগ দিয়েছে। কিন্তু ব্যক্তির অধিকার রক্ষায় কংগ্রেসের রেকর্ড কী, জানার ইচ্ছা হচ্ছে। জরুরি অবস্থার সময় যে নেতারা ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষায় লড়াই করেছিলেন, মোদী সরকারে তাঁরাই আছেন।