নয়াদিল্লি: কর্নাটকে আগামীকাল বিধানসভায় বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে বলল সুপ্রিম কোর্ট।
তিন বিচারপতির বেঞ্চে এদিন কী হল, সংক্ষেপে জেনে নিন।
১. ইয়েদুরাপ্পা আগামীকাল গোপন ব্যালটে আস্থাভোটের দাবি করেন। কিন্তু বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়।
২. আস্থা ভোটে অংশগ্রহণের জন্য অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের কাউকে বিধায়ক হিসাবে মনোনীত না করতে কর্নাটক সরকার, রাজ্যপালকে নির্দেশ দিল বিচারপতি এ কে সিক্রি, বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ।
৩. বিধানসভায় আস্থাভোটে পাশ না করার আগে কোনও বড় সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেও ইয়েদুরাপ্পাকে নিষেধ করেছেন বিচারপতিরা।
৪. বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, সরকার গড়তে ইয়েদুরাপ্পাকে পাঠানো রাজ্যপাল বজুভাই ভালার আমন্ত্রণপত্রের সাংবিধানিক গ্রাহ্যতা খতিয়ে দেখা হবে।
৫. প্রোটেম স্পিকার আস্থাভোটের ব্যাপারে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেবেন, বিধানসভার বাইরে নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ডিজিপি সহ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে বেঞ্চ।
৬. বেঞ্চ বলেছে, মূল প্রশ্নটি হল সংখ্যাগরিষ্ঠতা কার, তা নিয়ে, যার আস্থাভোটে ফয়সালা করতে হবে।
৭. শুনানির সময় বিজেপি ও ইয়েদুরাপ্পার হয়ে সওয়াল করে মুকুল রোহাতগি আবেদন করেন, আস্থাভোটের জন্য অন্তত সোমবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। কিন্তু বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কালই আস্থাভোট করতে হবে।
৮. রোহাতগি দাবি করেন, কংগ্রেস ও জেডি (এস)-এর প্রাক-নির্বাচনী আঁতাত হয়নি। ভোটের পর ক্ষমতা দখল করতে তারা অশুভ আঁতাত করেছে।
৯. কংগ্রেস-জেডি এস)-এর তরফে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাদের না ডেকে তুলনামূলক কম শক্তি থাকা দলকে সরকার গড়তে ডেকে রাজ্যপাল ঠিক করেছেন কিনা, প্রশ্ন সেটাই। তারও মীমাংসা চাই।