নয়াদিল্লি: নির্বাচনের আগে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো খবরের প্রচার রোধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি এ-ও জানিয়েছে, শীঘ্রই ভারতে তারা আনতে চলেছে বিদেশে চালু হওয়া তাদের ‘ফেক নিউজ ভেরিফিকেশন মডেল’।


ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নীতি-নির্ধারণকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করতে ভারতে এসেছেন ফেসবুক-মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপের শীর্ষ পদাধিকারীরা। সম্প্রতি, তারা নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন।


সেখানে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার ও অপব্যবহার সম্পর্কে সকল পক্ষকে অবগত করা হয়। বিশেষ করে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তার আগে হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো খবর প্রচারিত হওয়া কীভাবে আটকানো যায়, সেই নিয়ে সবপক্ষকে অবগত করা হয়।


সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি করা হয়েছিল, ছোট বা ব্যক্তিগত গ্রুপে পারস্পরিক আলোচনা করার লক্ষ্য নিয়েই তৈরি করা হয়েছিল। যে কোনও ধরনের ভুয়ো বিষয়বস্তুর জন্য কেউ এই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করে থাকলে, সংশ্লিষ্ট পক্ষের বিরুদ্ধে সর্বদা কঠোর অবস্থান নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।


সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপের গ্লোবাল টিমের তরফে কমিশনকে বলা হয়, তারা ভারতে ‘ভেরিফিকাডো’ নামে একটি ভেরিফিকেশন মডেল চালু করবে। সম্প্রতি, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর নির্বাচনে এই মডেল ব্যবহৃত হয়েছে। ব্রাজিলে ২৪টি সংবাদমাধ্যমকে এই প্ল্যাটফর্মের আওতায় নিয়ে এসে, খতিয়ে দেখা হয়েছিল, কোন খবরটি সত্যি আর কোনটি ভুয়ো।


এর পাশাপাশি, এদিন হোয়াটসঅ্যাপের তরফে বড় ঘোষণা করা হয়েছে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার তরফে জানানো হয়, ভারতে কোনও ব্যবহারকারী একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫টি চ্যাট ফরওয়ার্ড করতে পারবেন। এছাড়া, মিডিয়া মেসেজ-এর পাশে যে কুইক ফরোয়ার্ড বাটন থাকে, তা সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। বিদেশে এই ঊর্ধ্বসীমা ২০।


প্রসঙ্গত, ২ মাসে গুজবের জেরে দেশে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজব রুখতে এরপরই হোয়াটসঅ্যাপকে চাপ দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্ত ও আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না। তেমনটা হল, তাঁদেরও দোষের ভাগীদার হিসেবে গণ্য করা হবে।