নয়াদিল্লি: এও সম্ভব! মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়ায় শারদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিকে (এনসিপি) কে বিড়ম্বনায় ফেলে বিজেপির সমর্থনে জেলা পরিষদের দখল নিল কংগ্রেস।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসে এনসিপি। বিজেপি, কংগ্রেস পায় যথাক্রমে ১৭ ও ১৬টি আসন। কিন্তু রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে জেলা পরিষদ সভাপতি পদে কংগ্রেসের সীমা মালাভিকে সমর্থন করে বিজেপি, আবার কংগ্রেস ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বিজেপির হামিত আকবর আলিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে স্থানীয় পুরসভার ক্ষমতা বাঁটোয়ারা করল কংগ্রেস, বিজেপি। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, এবারের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়ার প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক গোপালদাস আগরওয়াল।
বর্তমান জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গোন্ডিয়ায় কংগ্রেস, বিজেপি মিতালির সুদূরপ্রসারী ফল হতে পারে। ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস-এনসিপি সমঝোতা মার খাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই এনসিপি নেতৃত্ব কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা বিস্মিত, এটা কী হল!
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছেন। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস দায় ঝেড়ে ফেলে দাবি করেছে, জেলা ইউনিট নেতৃত্ব তাদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অশোক চ্যবন এ কথা জানিয়েছেন।
যদিও বেশ কয়েক বছর ধরেই গোন্ডিয়ায় কংগ্রেস, এনসিপি সম্পর্ক ভাল নয়। ২০১৯-এর ভোটে দু দল জোট ধরে রাখতে হিমসিম খাচ্ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। ২০১৪-র বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ভেঙে যায় দু দলের জোট।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চ্যবনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দুদল একজোট থেকে ৩৫ শতাংশ ভোট পেত। কিন্তু এখন জোট বহাল রাখতে বাস্তবে সমস্যায় পড়ছে তারা।

সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন ভান্ডারা-গোন্ডিয়ার সাংসদ নানা পাটোলে। ফলে সেখানে উপনির্বাচন করতে হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা সেখানে এনসিপি-র সঙ্গে জোট চাইছেন না।