কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর ট্যুইটারে এই ঘটনা জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন লালবাহাদুর ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে মাত্র ৭,০০০ টাকা ছিল। কিন্তু গাড়ির দাম ১২,০০০ টাকা হওয়ায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ঋণের জন্য আবেদন করেন। সেদিনই তাঁর ঋণের আবেদন মঞ্জুর হয়ে যায়। এরপর লালবাহাদুর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বলেন, সাধারণ মানুষেরও এই সুবিধা পাওয়া উচিত। ১৯৬৬ সালে তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে চিঠি লিখে ঋণের কথা জানায় ব্যাঙ্ক। ললিতা সেই ঋণ শোধ করেন।
লালবাহাদুরের নাতি আদর্শ শাস্ত্রী এই ঋণের ঘটনা সত্যি বলে জানিয়েছেন। ক্রিম রঙের গাড়িটি দিল্লিতে লালবাহাদুর শাস্ত্রী সংগ্রহশালায় রাখা আছে। যে ব্যাঙ্কের ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ না মিটিয়ে নীরব মোদী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই একই ব্যাঙ্কের ঋণ শোধের ক্ষেত্রে সততার অসামান্য নজির স্থাপন করেছিলেন লালবাহাদুর ও তাঁর স্ত্রী।