নয়াদিল্লি: কার্গিল শহিদের মেয়ের এবিভিপি-বিরোধী ফেসবুক ঘিরে আলোড়ন অব্যাহত। গুরমেহের কাউর নামে মেয়েটি দিল্লির রামজস কলেজের সেমিনারে জেএনইউয়ের ছাত্র ওমর খালিদকে বক্তা হিসাবে ডেকেও আমন্ত্রণ বাতিল করার ঘটনার জেরে এবিভিপি-আইসা সংঘর্ষে পর নিজেকে বিজেপির ছাত্র শাখা-বিরোধী বলে ফেসবুকে ঘোষণা করে ঝড় তুলেছে। ১৯৯৯-এর কার্গিল শহিদ ক্যাপ্টেন মনদীপ সিংহের মেয়ের দাবি, তাঁর বাবাকে পাকিস্তান মারেনি, মেরেছে যুদ্ধ। এতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় ট্যুইটারে।

এদিন গুরমেহেরের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও মুখ খোলেন ট্যুইটারে। লেখেন, কে এই বাচ্চা মেয়েটির মনে বিষ ঢালছে? হাতে জোর থাকলে যুদ্ধ এড়ানো যায়। ভারত কখনও কাউকে আক্রমণ করেনি। কিন্তু তার দুর্বলতার সুযোগে ভারতে আগ্রাসন চালানো হয়েছে। পাশাপাশি মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা ট্যুইটারে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তুলনা করে লিখেছেন, দাউদ অন্তত নিজের দেশ-বিরোধী অবস্থানের পক্ষে বাবার নাম টেনে আনেনি! ট্যুইটে গুরমেহর, দাউদের ছবি পাশাপাশি বসিয়ে দিয়েছেন সিমহা। সঙ্গে রয়েছে, ১৯৯৩-এ আমি মানুষ মারিনি, বোমায় মৃত্যু হয়েছে ওদের, দাউদের এই মন্তব্য।
 




গুরমেহের লেডি শ্রীরাম কলেজের ছাত্রী। রামজাস কলেজে ২২ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষে বাম ছাত্র সংগঠন আইসার কর্মী ও শিক্ষকদের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে এবিভিপির বিরুদ্ধে। তারপরই গুরমেহের ট্যুইটার, ফেসবুকে নিজের একটি পোস্টার সহ ছবি পোস্ট করে, যাতে লেখা রয়েছে, আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। এবিভিপি-কে ভয় পাই না। আমি একা নই। ভারতের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী আমার সঙ্গে আছে। সেই পোস্ট ভাইরাল হয়। তাকে সমর্থন করে কংগ্রেস, আপ। সম্ভবত, সে কারণেই নাম না করে গুরমেহরের পিছনে বিরোধীদের মদত থাকার ইঙ্গিত দিলেন রিজিজু।
তিনি পরে সাংবাদিকদের বলেন, দেশবাসী,নিরাপত্তাবাহিনীর মনোবলধাক্কা খায়, এমন কিছু বলা উচিত নয় কারও। স্বাধীনতা সবারই আছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, দেশকে দুর্বল করার স্লোগান উঠবে।