জম্মু: পাম্পোর-অভিযান শেষ। টানা ৩ দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে জঙ্গি-মুক্ত পাম্পোরের সরকারি ভবন, ইডিআই। পুলিশের দাবি, গুলির লড়াইয়ে নিহত সব জঙ্গি।
১৯ ফেব্রুয়ারির পর ১০ অক্টোবর। মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে, চলতি বছরে এই নিয়ে দু-দু'বার পাম্পোরের অন্ত্রাপ্রেনিয়রশিপ ডেভলপমেন্ট ইন্সটিটিউট বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়ল জঙ্গিরা।
কিন্তু কেন বারবার জঙ্গিরা বেছে নিচ্ছে পাম্পোরের এই সরকারি দফতরকে? ১৯৯৭ সালে তৈরি হয় এই অন্ত্রাপ্রেনিয়রশিপ ডেভলপমেন্ট ইন্সটিটিউট।
২০০৪ থেকে এখানে শুরু হয় বিভিন্ন স্বনির্ভর প্রকল্পে শিক্ষাদান কর্মসূচি। হস্তশিল্প, বাটিক, শাল তৈরি, সুচিশিল্প ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তরুণ-তরুণীদে। পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের চার হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণী এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাধীনভাবে ব্যবসা শুরু করেছেন। তরুণ প্রজন্মকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগকে ভালভাবে নেয়নি জঙ্গিরা। অনুমান, সেই উদ্যোগকে সমূলে নষ্ট করতেই এই ভবনকে বার বার বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা।
সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও ট্যুইট করে জানান, অন্ত্রেপ্রেনিয়রশিপ ডেভলপমেন্ট প্রকল্পে উপকৃত হচ্ছেন কাশ্মীরী তরুণ-তরুণীরা। তাঁদের কোমর ভাঙতে ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। উরি পরবর্তী সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকেই ভারতীয় ভূখণ্ডে একাধিকবার জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। উপত্যকায় জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। তা সত্বেও জঙ্গিরা কীভাবে পৌঁছে গেল পাম্পোরের সরকারি ভবনে? কীভাবে ফের ঢূকে পড়ল ইডিআই বিল্ডিংয়ে?  আবারও প্রশ্নের মুখে ভূস্বর্গের নিরাপত্তা।