১১ ডিসেম্বর ছিল জগৎ প্রকাশ নাড্ডার বিবাহবার্ষিকী। আর এই দিনই বিয়ের ছবির একটি কোলাজ ফেসবুকে আপলোড করেন তাঁর স্ত্রী।
নয়াদিল্লি: দুদিন আগেই বঙ্গ সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাঁর সফরের প্রতিপদে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। কোথাও 'GO BACK' স্লোগান, কোথাও কালো পতাকা। আর ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাওয়ার পথে তো শিরাকোলে তাঁর কনভয়ের উদ্দেশে উড়ে এসেছে এলোপাথারি ইট-পাথর-লাঠি। ভেঙেছে বিজেপি হেভিওয়েট নেতাদের গাড়ির কাচ, আহত হয়েছেন কৈলাস, মুকুল। 'মা দুর্গার কৃপায় কোনওক্রমে এসে পৌঁছেছি', ডায়মন্ড হারবারের মঞ্চে হাঁঁফ ছেড়ে বলেছিলেন জেপি নাড্ডা। তাঁর উদ্দেশে বারবার 'বহিরাগত' বলে আক্রমণ শাণিয়েছে বিরোধীপক্ষ। বাঙালি শিক্ষা-কৃষ্টির সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার। এরই মধ্যে উঠে এল নাড্ডার বং-কানেকশনের কথা। ১১ ডিসেম্বর ছিল জগৎ প্রকাশ নাড্ডার বিবাহবার্ষিকী। আর এই দিনই বিয়ের ছবির একটি কোলাজ ফেসবুকে আপলোড করেন তাঁর স্ত্রী। সেখানে নাড্ডাকে দেখা গেল ধুতি-পঞ্জাবি-টোপরের সাজে। আর তাঁর স্ত্রীয়ের মাথায় শোলার মুকুট, লাল চেলি। বাঙালি বর-কনের সাজে নাড্ডা দম্পতি। কী ব্যাপার? জানা গেল, হিমাচল নিবাসী জেপি নাড্ডা আসলে বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারের জামাই। তাঁর স্ত্রী বিয়ের আগে ছিলেন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ে করে হয়েছেন নাড্ডা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সরাসরি যোগ না থাকলেও, জেপি নাড্ডার শ্বশুরবাড়ি জব্বলপুরের বাঙালি।
নাড্ডার স্ত্রী মল্লিকা। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, তাঁর বাবার নাম সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। মা জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। মল্লিকা পড়াশোনা করেছেন রানি দুর্গাবতী ইউনিভার্সিটি থেকে। তারপর জড়িত ছিলেন সমাজসেবামূলক কাজে। তখনই নাড্ডার সঙ্গে পরিচয়। ১৯৯১ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। সেই সূত্রে বাংলার সঙ্গে জেপি নাড্ডার শ্বশুরবাড়ির যোগসূত্র। যদিও বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে জগৎপ্রকাশের সংযোগ কতটা তা অজানা।