নয়াদিল্লি: যে মুসলিমরা তিন তালাক দেবে, তাদের সামাজিক বয়কট করা হবে। মুসলিম ছেলে, মেয়েদের বিয়ে দেবেন যে কাজিরা, তাঁদেরও বলে দেওয়া হবে, তাঁরা যাতে নিকাহনামার সময়ই পাত্রপাত্রীদের ডিভোর্সের ক্ষেত্রে তিন তালাকের রাস্তায় হাঁটতে নিষেধ করে দেন।


সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি)। তারা বলেছে, তিন তালাক শরিয়ত বা ইসলামি আইনে অবাঞ্ছিত প্রথা। স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ পারস্পরিক বোঝাপড়ায় মিটিয়ে ফেলতে হবে। শরিয়তের মৌলিক বৈশিষ্ঠ্যগুলি বিবেচনায় রেখে এ ব্যাপারে একটি আচরণবিধিও ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।
মুসলিম সংগঠনটি জানিয়েছে, তিন তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ যাতে মদত না পায়, এ ধরনের ডিভোর্স কমে যায়, সেজন্য যারা একবারে তিন তালাক উচ্চারণ করবে, তাদের সামাজিক বয়কট করা হবে।

নিকাহ পরিচালনাকারী কাজি পাত্র-পাত্রী, উভয়কেই পরামর্শ দেবেন, যাতে তাঁরা নিকাহনামায় এই মর্মে একটি শর্ত ঢোকান যে, স্বামী এক নিঃশ্বাসে তিন  তালাক ঘোষণা করবেন না।

সম্প্রতি তিন তালাকের বিরুদ্ধে পেশ হওয়া একগুচ্ছ আবেদনের ৬ দিন ধরে শুনানি হয়েছে সু্প্রিম কোর্টের সংবিধান বেঞ্চে। সেখানে এআইএমপিএলবি জানিয়েছে, তারা গত ১৫-১৬ এপ্রিল হওয়া ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করে। তাদের বক্তব্য, ডিভোর্স প্রসঙ্গে শরিয়তের অবস্থান খুব স্পষ্ট। তা হল, কোনও কারণ ছাড়াই বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা ও একবারে তিন তালাক বিবাহ বিচ্ছেদের সঠিক পদ্ধতি নয়। শরিয়ত এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করে।