খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে, প্রয়োজনে আইন করবে সরকার, তবে সবচেয়ে বড় গণপিটুনি ঘটেছিল ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী হিংসায়, লোকসভায় রাজনাথ
Web Desk, ABP Ananda | 24 Jul 2018 02:29 PM (IST)
নয়াদিল্লি: একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার শুধু উদ্বিগ্নই নয়, বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সংসদে জানালেন রাজনাথ সিংহ। দরকার হলে গণপিটুনি রোধে সরকার আইন আনবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে দেশে আলোড়ন চলছে রাজস্থানের আলোয়ারে গোপাচারকারী সন্দেহে রাকবর খান নামে এক যুবকের গণরোষে মৃত্যুর অভিযোগে। তাঁকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলার অভিযোগের মধ্যেই আবার দাবি করা হচ্ছে, পুলিশের গাফিলতিই রাকবরের মৃত্যুর কারণ। এমনকী পুলিশি হেফাজতে তাঁকে মারধরের অভিযোগও উঠছে। এ নিয়ে আজ উত্তাল হয় সংসদ। বিরোধীরা সরকারকে নিশানা করে। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি স্পষ্ট বলতে চাই, সরকার এ ধরনের ঘটনায় শুধু উদ্বিগ্নই নয়, খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে এ ব্যাপারে। সরকার সোমবারই একটি কমিটি তৈরি করেছে বলে জানান তিনি, যারা দেশে গণরোষ, উন্মত্ত জনতার মারধর রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, সুপারিশ করবে। তিনি জানান, চার সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি মন্ত্রিগোষ্ঠীকে সুপারিশ সমেত রিপোর্ট পেশ করবে। রাজনাথ অবশ্য বিরোধীদের তোলা গণপিটুনির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেন, দেশে সবচেয়ে বড় গণপিটুনি হয়েছিল ১৯৮৪ সালে, যখন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর পাল্টা সেই সম্প্রদায়ের ওপর নির্বিচারে হামলা চলেছিল। এ ধরনের ঘটনা ভারতে আগেও ঘটেছে বলে জানান রাজনাথ।