সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে জাল্লিকাট্টু প্রথা চালু রাখতে অর্ডিন্যান্স আনার ভাবনা তামিলনাড়ুর সরকারের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পনিরসেলভম জানিয়েছেন, গতকাল অর্ডিন্যান্সের বিষয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশার আলো দেখাতে না পারলেও, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনুমোদন মিললেই আনা হবে অর্ডিন্যান্স। পনিরসেলভম জানিয়েছেন, অর্ডিন্যান্সের খসড়া তৈরি, পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে।
এদিকে জাল্লিকাট্টু বন্ধের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন। আজ তামিলনাড়ুতে স্কুল, ব্যবসা কেন্দ্র, পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে, চলছে রেল অবরোধও। আজ সন্ধে পর্যন্ত অনশন করছেন সুরকার এ.আর.রহমান। এই নিয়ে আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দ। তাঁর বক্তব্য, তিনি পশুদের অধিকার রক্ষার বিরুদ্ধে নন, কিন্তু এখানে প্রশ্নের মুখে এক রাজ্যের ঐতিহ্য এবং এক গোষ্ঠীর মানুষের জীবীকা।
এদিকে জাল্লিকাট্টু প্রসঙ্গে আর্ট অফ লিভিংয়ের এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের মন্তব্য, এরসঙ্গে তামিলনাড়ুর মানুষের যে ভাবাবেগ জড়িয়ে রয়েছে সেটা বুঝতে হবে। তামিলনাড়ুর অন্যতম বড় উত্সব পোঙ্গাল। সেখানেই উত্সরেব দ্বিতীয় দিনে ষাঁড় এবং গরু ব্যবহার করা হয়। তারজন্যে দীর্ঘদিন ধরে ষাঁড় ও গরুর লালন পালন করে সেখানকার মানুষ, সম্মানও করেন। তাঁর দাবি, আরও ভালভাবে যুক্তি দিয়ে আদালতে এই জাল্লিকাট্টুর গুরুত্ব বোঝাতে হবে।
জাল্লিকাট্টু আন্দোলনের সমর্থনে আজ প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম আর্টিস্ট সংগঠনের সদ্যসরা। তার মধ্যে রয়েছেন রজনীকান্ত, কমল হাসান, বিজয়, অজিথ, সত্যরাজের মতো ব্যক্তিত্বরা। আইনজীবীরা আদালতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।
তবে এই আন্দোলনের সমর্থনে ছাত্রদের প্রতিবাদ আন্দোলন তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পনিরসেলভম। তাঁর আশা আগামী এক-দুদিনের মধ্যেই অর্ডিন্যান্সের খসড়া নিয়ে অনুমতি চলে আসবে, এবং ফের চালু হবে এই নিয়ম।