আমেরিকা ভারত সহ একাধিক দেশকে বলেছে, ইরান থেকে তাদের তেল আমদানি ছেঁটে ফেলে ৪ নভেম্বরের মধ্যে একেবারে জিরো অর্থাত্ শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে, নইলে মার্কিন বিধিনিষেধের মুখে পড়তে হবে, কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।
ইরাক ও সৌদি আরবের পর ইরান ভারতের তৃতীয় সর্বাধিক তেল সরবরাহকারী দেশ। ২০১৭-র এপ্রিল থেকে ২০১৮-র জানুয়ারি অর্থাত্ ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের প্রথম দশ মাসে ইরান ভারতকে ১৮.৪ মিলিয়ন টন অশোধিত তেল সরবরাহ করেছে।
কংগ্রেস জানতে চেয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইরান থেকে তেল আমদানি না করার নির্দেশের কী প্রভাব পেট্রলের দাম ও জাতীয় স্বার্থের ওপর পড়তে চলেছে।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা ট্যুইট করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও পেট্রলিয়ামমন্ত্রী কি দেশবাসীকে বলবেন, ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ রাখতে আমেরিকার নির্দেশ কি তাঁরা মানবেন?
গত মাসে ট্রাম্প ঐতিহাসিক ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসেছেন। তারপরই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর বিধিনিষেধের বিনিময়ে বন্ধ রাখা মার্কিন বিধিনিষেধগুলি ফের চাপায় ওয়াশিংটন। তারা ভারত, চিন সহ সব দেশের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে যাতে সবাই ইরানের তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।