নয়াদিল্লি:  পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা গুরুতর  অসুস্থ এক ব্যক্তিকে মেডিক্যাল ভিসা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার টুইট করে একথা জানানোর পর বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, তিনি মনে করেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ, তাই মেডিক্যাল ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে নিয়ম রয়েছে কোনও পাকিস্তানের বাসিন্দা যদি ভারতে মেডিক্যাল ভিসার জন্যে আবেদন জানান, তাহলে তাঁদের আগে সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের প্রধান সরতাজ আজিজের থেকে একটি চিঠি লিখিয়ে আনতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দার ওপর সেই নিয়ম লাগু হবে না। কারণ হিসেবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই জায়গাটা ভারতেরই অংশ। বিশেষজ্ঞমহলের দাবি, এভাবেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছে ভারত।





২৪ বছর বয়সি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওই ব্যক্তি যকৃতে টিউমারে আক্রান্ত। নয়াদিল্লিতে এসে তিনি চিকিত্সা করাতে চান। তাই জন্যে তাঁর মেডিক্যাল ভিসার প্রয়োজন ছিল, এবং তিনি সেই ভিসা খুব তাড়াতাড়ি পেয়েও যাবেন, দাবি সুষমার।

 



তবে এই ভিসা প্রসঙ্গে কয়েকদিনে আগে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন ভারত যেকোনও পাকিস্তানের বাসিন্দাকে মেডিক্যাল ভিসা দিয়ে দেবে, তাঁদের শুধু সরতাজ আজিজের থেকে একটি চিঠি লিখিয়ে আনতে হবে। কিন্তু যেকোনও অজ্ঞাত কারণেই হোক সরতাজ আজিজ সেটা দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করেন। কেন তিনি নিজের দেশের লোকেদেরই সুপারিশ করতে ইতস্তত করেন, সেটা জানতে চেয়েছেন সুষমা।

 


 



 


এরপর তিনি আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারতের তরফে অবন্তিকা যাদব নামে এক মহিলার পাকিস্তান যাওয়ার ভিসা চাওয়া হয়েছিল।  কিন্তু সেই ভিসা এখনও মঞ্জুর করেনি ইসলামাবাদ। এখানে যে সুষমা স্বরাজ কুলভূষণ যাদবের মায়ের কথাই বলছেন সেকথাও বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও। এমনকি কুলভূষণের মা যাতে পাকিস্তান যেতে পারেন, সেই জন্যে সরতাজ আজিজকে স্বয়ং চিঠি লিখেছিলেন সুষমা। কিন্তু ভদ্রতা করে সে চিঠিরও কোনও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি পাক-বিদেশমন্ত্রী। টুইটারে এবিষয়ে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশও করেন সুষমা।