নয়াদিল্লি: ইরান থেকে তেল আমদানি করলে ভারতের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সে বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করল না বিদেশমন্ত্রক। তবে দাবি করা হয়েছে, দেশের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘আমরা মার্কিন বিদেশ দফতরের বিবৃতি দেখেছি। শুধু ভারতের কথাই বলা হয়নি, সব দেশের ক্ষেত্রেই এই বিবৃতি প্রযোজ্য। আমাদের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত সবপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা সহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে ভারত।’

সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে, এ বছরের ৪ নভেম্বরের মধ্যে ভারত, চিন ও ইউরোপের দেশগুলিকে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। রবীশ অবশ্য দাবি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলিকে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে বলেছে। সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলা হয়নি।

ইরাক ও সৌদি আরবের পর ইরান থেকেই সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে ভারত। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ইরান থেকে ১৮.৪ মিলিয়ন টন অশোধিত তেল আমদানি করেছে ভারত। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের হুঁশিয়ারির পর এবার ইরান থেকে তেল আমদানি কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। ইরানের বদলে সৌদি আরব ও কুয়েত থেকে আরও বেশি তেল আমদানি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।