সাধারণ সভায় রিশাদের পাশে ছিলেন তাঁর বাবা আজিম প্রেমজি। গত বছর উইপ্রোর চেয়ারম্যান পদে অবসর নেন তিনি। এখন তিনি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। বোর্ডের বাকি সদস্যরা বিশ্বের নানা দেশ থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত হন।
আমেরিকার ওয়ার্ক বা কাজের ভিসা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি, কোম্পানি নিজের ব্যবসার মডেলকে ঝুঁকিহীন করেছে বলে জানান। রিশাদ বলেন, আমেরিকায় আমাদের ৭০ শতাংশ কর্মীই স্থানীয় লোক। এইচওয়ানবির চ্যালেঞ্জ থেকে নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত করেছি।
অন্য সংস্থাগুলির মতো উইপ্রোও বেশিরভাগ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করাচ্ছে গত কয়েক মাস ধরে। রিশাদ বলেছেন, আমরা এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রয়েছি।গত একশ বছরে সবচেয়ে বড় সঙ্কটগুলির অন্যতম কোভিড-১৯। মানুষের কষ্ট, ক্ষয়ক্ষতি অবর্ণনীয়। আর্থিক কার্যকলাপ যেভাবে ভেঙে পড়েছে, তা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। প্রযুক্তির দুনিয়ায় ঘটে যাওয়া এইসব বদলের অনেকটাই থেকে যাবে। যে কোনও জায়গা থেকে কাজ করার ধারণা আজ আর নিছক কল্পনা নয়। আমরা ধরে নিতে পারি, দূরে আলাদা বসে, ভার্চুয়াল উপায়ে বাধাবিঘ্নের মধ্যে কাজের মডেলটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। উইপ্রো এইসব বদল, রূপান্তরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থায় আছে এবং ডিজিট্যাল ও ক্লাউডে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগও করেছে।
সংস্থার নয়া সিইও থিরে ডেলাপোর্টও ছিলেন বৈঠকে। গত সপ্তাহে যোগ দেন তিনি। উইপ্রো, ভারতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি শিল্পে তিনিই প্রথম অ-ভারতীয় সিইও। বৃদ্ধির মাপকাঠিতে উইপ্রো যখন খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে, সে সময় দায়িত্ব নেওয়া ডেলাপোর্ট প্যারিস থেকে বৈঠকে যোগ দিয়ে জানান, মুনাফা করা, উচ্চ মানের পারফরম্যান্সের সংস্কৃতি তৈরি করাতেই তাঁর নজর থাকবে। এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে নানা জনের সঙ্গে কথা বলে তিনি সাড়া পেয়েছেন বলে জানান ডেলাপোর্ট