নয়াদিল্লি:  স্বাধীনতা পরবর্তী ৬০-এর দশক। উত্তাল সময় তখন। সমাজ-রাজনীতিতে সেই ভাঙাগড়া, অস্থিরতা, আলোড়নের প্রতিফলন ঘটেছিল শিল্পেও। ভারতের সিনেমা জগতও এর বাইরে ছিল না। রুপোলি পর্দাতেও সেই সময়ের ছায়া পড়েছিল বলিউডের দিকপাল ব্যক্তিত্বদের হাত ধরে। এমনটাই মনে করেন আমির খান। তাঁর মতে ৬০-র দশক ভারতীয় সিনেমার স্বর্ণ যুগ। কে আসিফ, গুরু দত্তের মতো খ্যাতনামা পরিচালকরা ছিলেন তখন।আমির বলছেন, ‘আহা, ওই সময়টায় যদি আমি জন্মাতাম’!


আমির বলেছেন, ওই সময়ের পরিচালকরা দেশের উত্তাল অবস্থার ফসল। আর এই সূত্রে ভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনার মিশেল  ভারতীয় সিনেমাকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিল।

‘পিকে’ অভিনেতা বলেছেন, ১৯৬০-এর দশক প্রকৃত পক্ষেই দারুন একটা সময়। সামাজিক অস্থিরতা, স্বাধীনতা সংগ্রাম, তারপর দেশভাগ। ওই সময়ের মানুষদের এই সব অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল এবং সেখান থেকেই উঠে আসেন প্রতিভারা। তাই ওই সময়ের লোকজন দারুন সৃষ্টিশীল ছিলেন। সেই সময় সাহির লুধিয়ানভি, মজরু সুলতানপুরীর মতো ব্যক্তিত্বরা ছিলেন তখন.. তাঁরা বামপন্থী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি।

আমির  বলেছেন, আমি ভাবি, যদি সেই সময় আমার জন্ম হত। মেহবুব খান সাহেব, কে আসিফ, গুরু দত্তের মতো ব্যক্তিরা সেই উত্তাল সময়ে ছিলেন, তাঁরা ওই সময়ের মধ্য দিয়েই তাঁরা বড় হয়ে উঠেছিলেন। আমার মনে হয়, ওটাই ভারতীয় সিনেমার স্বর্ণ যুগ।

কাকা নাসির হুসেনের আত্মজীবনী গ্রন্থের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক প্যানেল ডিসকাশনে এ কথা বলেছেন আমির।

প্রশ্নোত্তর পর্বে আমির আরও বলেছেন যে, বর্তমান সময়েও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর সৃষ্টিশীল লোকজন রয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন তো আরও অনেক তরুণ বিভিন্ন গল্প নিয়ে আসছেন, তাঁরা নিজেদের পাশাপাশি দর্শকদের প্রতিও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন। অনেক মানুষ আছেন যাঁরা তাঁদের শিল্পকে ভালোবাসেন। সিনেমার প্রতি নিখাদ ভালোবাসা থেকেই এটা হয়।