স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর সঙ্গে উপকূলরক্ষী বাহিনীর কোনও তুলনাই হয় না। সশস্ত্রবাহিনী হলেও, ভারতীয় সেনার এই বিভাগ ধারে-ভারে অনেক ছোট। কিন্তু ২৬/১১ হামলার পর থেকেই এই বিভাগের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মিত্রর নেতৃত্বে এক বৈঠকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছে। উপকূলে নজরদারি ভেসেল, নৌকা, হেলিকপ্টার, বিমান কেনা এবং পরিকাঠামোর উন্নতি করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
ভারতের ৭,৫১৬ কিমি তটরেখা রয়েছে। দ্বীপের সংখ্যা ১,৩৮২টি। উপকূলবর্তী অঞ্চল, দ্বীপ, উপকূলের সম্পদ রক্ষা এবং জলদস্যু ও চোরাচালানকারীদের মোকাবিলা, জাহাজ থেকে তেল পড়ে সমুদ্রের জলে মেশা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে উপকূলরক্ষী বাহিনীকে কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্র। এর জন্য ২০২২ সালের মধ্যে এই বাহিনীর হাতে ১৭৫টি জাহাজ ও ১১০টি বিমান তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।