নয়াদিল্লি ও পটনা: ‘মহাজোটের’ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফের বিজেপির হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন সরকার গঠন করার পথে নীতীশ কুমার।
তবে, এবার তাঁর দল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর সহযোগী লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি ও কংগ্রেস নয়। পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে একদা সঙ্গী বিজেপির হাত ধরেই ফের সরকারে আসতে চলেছে তারা।
LIVE UPDATES:
- রাতেই রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে দেখা করবেন নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন সুশীল মোদী, জিতনরাম মাজি, ললন পাসোয়ান এবং বেশ কয়েকজন নির্দল বিধায়ক।
- আগামীকাল বিকেল ৫টা নাগাদ শপথ নেবেন নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, ফের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন সুশীল মোদী। জানা গিয়েছে, জেডিইউ ও বিজেপি থেকে ১৩ জন করে বিধায়ক মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন।
- সূত্রের খবর, নীতীশের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই নতুন সরকার গঠনের দাবি রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সামনে পেশ করবেন নীতীশ। আগামীকালই, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নীতীশ কুমার। সেক্ষেত্রে ফের চার বছর পর বিজেপির সঙ্গে জোট করে বিহারে সরকার গঠন করতে চলেছে জেডিইউ।
রাতেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকে সামনে রেখে জেডিইউকে সমর্থন করার কথা জানিয়ে রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠিকে জানিয়ে আসে বিজেপি নেতারা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুশীল মোদী ঘোষণা করেন, ১ অ্যান মার্গের বাসভবনে নতুন জোটসঙ্গীদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন নীতীশ।
এর আগে, বুধবার, নীতীশ কুমার ইস্তফা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের নীতীশ কুমারকে সমর্থন করতে রাজি। এরপরই, ফের বিজেপি-জেডিইউ জোটগঠনের সম্ভাবনা জোরালো হতে শুরু করে।
নীতীশের পদত্যাগের পরই, দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিজেপি। অন্যদিকে, দিল্লিতে বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহরা। বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুশীল মোদী জানিয়ে দেন, রাজ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচন চায় না তাঁর দল। সেক্ষেত্রে, নীতীশের নেতৃত্বে বিকল্প সরকার গঠনে তারা সমর্থন দিতে তৈরি।
[embed]https://twitter.com/ANI_news/status/890208697804140544[/embed]
https://twitter.com/ANI_news/status/890209815468752896
সুশীল বলেন, আমরা মনে করি নীতীশই আমাদের নেতা। ফলে, সরকার গঠনে ওনাকে সমর্থন করব। শুধু তাই নয়। রাতেই চিঠির মাধ্যমে নীতীশকে সমর্থনের বিষয়টি রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠিকে জানিয়ে দেয় বিজেপি।
এর আগে, নীতীশ ইস্তফা দেওয়া মাত্র নরেন্দ্র মোদী ট্যুইট করে তাঁকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য অভিনন্দন নীতীশ কুমার।
মোদীর ট্যুইটের পাল্টা ধন্যবাদ জানাতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি নীতীশ। তিনি পাল্টা ট্যুইট করে বলেন, আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীজি যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তাঁর জন্য তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
মূলত, সেখানেই বিজেপির সঙ্গে জোট বেধে ফের বিহারে নীতীশ-রাজের ব্লু-প্রিন্ট কার্যত তৈরি হয়ে যায়। বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। নীতীশের দলের ৭১ ও বিজেপির ৫৩ জন বিধায়ক মিলে সহজেই সংখ্যাটা ১২৪ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট। অন্যদিকে, লালুপ্রসাদের ৮০ ও কংগ্রেসের ২৭ মিলিয়ে হচ্ছে মাত্র ১০৭।