নয়াদিল্লি:  শহিদ বা শারীরিক অক্ষমতার শিকার জওয়ানদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১০ হাজার টাকার মধ্যে বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।  এ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দিয়েছেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা।


সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী শহিদ ও শারিরীক অক্ষমতার শিকার জওয়ানদের সন্তানের পড়াশোনার খরচের জন্য আর্থিক সাহায্যের সর্বোচ্চ সীমা ১০ হাজার টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়।

প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কাছে লেখা চিঠিতে চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল লাম্বা লেখেন, ওই জওয়ানরা দেশের জন্য চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করেছেন। তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচে ছাড় প্রদান দেশের প্রতিরক্ষায় তাঁদের দায়বদ্ধতার প্রতি একটা স্বীকৃতি।

কর্তব্যরত অবস্থায় যে সব জওয়ার নিহত, নিখোঁজ হয়েছেন বা অক্ষম হয়ে পড়েছেন তাঁদের সন্তানদের টিউশন ফি, হোস্টেলের খরচ, বই, জামাকাপড়,ইউনিফর্মের খরচের  পুরোটাই দেওয়া হত। এ বাবদ সহায়তার সর্বোচ্চ সীমা গত ১ জুলাই জারি করা নির্দেশে ১০ হাজার টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি এই নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদের প্রায় ৩,৪০০ সন্তানের ওপর প্রভাব পড়েছে।

এই নির্দেশ ঘিরে অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে। নির্মলা সীতারামন এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার সবসময়ই সশস্ত্র বাহিনীর সুযোগ-সুবিধার প্রতি খেয়াল রাখে।

কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত ও শারীরিক দিক থেকে অক্ষম জওয়ানদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ প্রদানের সিদ্ধান্ত ১৯৭১-র যুদ্ধ জয়ের দুদিন পরে নেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই যুদ্ধে পাকিস্তান হেরে গিয়েছিল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল।