শ্রাবস্তী: আইনের চোখে অপরাধ, বেআইনি হওয়ার পরও তাত্ক্ষনিক তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ অব্যাহত! গত শুক্রবার সকালে ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী গাদরা গ্রাম থেকে এক ভয়াবহ খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আশিস শ্রীবাস্তব, যা তিন তালাকের ঘটনা কিনা, জল্পনা চলছে। ২২ বছরের এক মহিলাকে পিটিয়ে মেরে তার দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ফোনে স্বামী তালাক দিলে মানতে না চাওয়ার জন্যই মহিলার এই পরিণতি বলে দাবি তাঁর পরিবারের।
পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, সঈদা ও নাফিসের প্রায় ৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। দুজনে একই গ্রামের। নাফিস মু্ম্বইয়ে কাজ করে, তাদের দুটি সন্তান। তাঁর মেয়েকে স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় মারধর করত বলে অভিযোগ সঈদার বাবা রমজানের। গত ৬ আগস্ট সঈদাকে ফোনে নাফিস তালাক দেয় বলে রমজান দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নফিস ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়ি ফেরে, গত শুক্রবার স্বামী-স্ত্রী ঠিক করে, ঝগড়া মিটিয়ে আপসরফা করে নেবে। নাফিস সঈদাকে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। তারপরই তাঁর ৬ বছরের চোখের সামনেই সঈদাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে কেরোসিন ঢেলে দেহটি জ্বালিয়ে দেয় নাফিস ও তার বাড়ির লোকজন।
সঈদার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আটজনের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সঈদের স্বামী, শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য এ ঘটনায় তালাকের যোগ সামনে আসেনি, এলে সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত মাসেই সংসদে তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধের স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস হয়েছে সংসদে।