চেন্নাই: দোহা থেকে বালি যাচ্ছিল বিমানটি। টেক অফের ঘণ্টাখানেক পর ভদ্রলোক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রীর চোখে ঘুম নেই। বরের স্মার্টফোন খুলে ঝপাঝপ মেসেজ, গ্যালারি, হোয়াটসঅ্যাপে চলে গেলেন। তারপর যা দেখলেন তাতে চক্ষু চড়কগাছ!


কাতার এয়ারওয়েজের উড়ানে চড়ে বালি যাচ্ছিলেন ওই ইরানী দম্পতি। সঙ্গে শিশু সন্তান। মহিলার কিছুদিন ধরেই সন্দেহ ছিল, বরের বোধহয় কোথাও প্রেম চলছে। কিন্তু হাতে নাতে ধরতে পারছিলেন না। তক্কে তক্কে ছিলেন, বিমানে পাশের সিটে স্বামী ঘুমোতে মিলে গেল সুযোগ।

হাতে গরম প্রমাণ পেয়ে মহিলা আর দেরি করেননি। প্রচণ্ড চেঁচামেচি, হইচই শুরু করেন। এর মধ্যে নেশাও করে নিয়েছিলেন ফলে তাঁকে ঠেকায় তখন সাধ্য কার! ক্রুদের গায়েও হাত তোলেন তিনি।

কোনওমতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে বিমান বালির দিকে না গিয়ে ঘুরিয়ে আনা হয় চেন্নাইয়ে। সেখানেই ওই পরিবারকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তারপর গন্তব্যে উড়ে যায় বিমানটি।

চেন্নাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ওই পরিবারকে ততক্ষণ চুপচাপ বসিয়ে রাখে যতক্ষণ না মহিলার মাথা ঠাণ্ডা হয়। তারপর তাঁদের তুলে দেওয়া হয় কুয়ালালামপুরের বিমানে, যাতে তাঁরা সেখান থেকে দোহা যাওয়ার উড়ান ধরতে পারেন।

বাড়ি ফেরার পর ভদ্রলোকের কী হল জানা যায়নি।