নয়াদিল্লি: প্রথমে মনে হয়েছিল, প্রতারিত স্বামী রাগের মাথায় খুন করেছেন স্ত্রী ও তাঁর প্রণয়ীকে। পরে জানা গেল, তা নয়, এক ভয়ঙ্কর অপরাধী চক্রের হাত রয়েছে গোটা ঘটনায়। খুনের আগে ওই মহিলাকে প্রণয়ীর সামনে ধর্ষণও করে তারা।

৩৮ বছরের ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি মীর বিহারের মদনপুর দাবাসে, একটি পুকুরের পাশ থেকে। তাঁর গলায় আঙুলের দাগ ছিল। জানা যায়, তার আগের দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অন্য কোথাও তাঁকে খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয় ওই পুকুরের পাশে।

পরদিন মদনপুর দাবাসেই একটি খালের পাশে নালা থেকে এক যুবকের দেহ পাওয়া যায়। ছিল একটি মোটরসাইকেলও। তিনিও ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ২৩ বছরের ওই যুবকের সঙ্গে মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মনে করা হচ্ছিল, মহিলার স্বামী দুজনকে খুন করেছেন। অভিযুক্ত ও তাঁর এক আত্মীয়কে খুনের সন্দেহে গ্রেফতারও করে পুলিশ।

কিন্তু এরপর তারা জানতে পারে, কিছু লোক গণধর্ষণের পাশাপাশি দুজনকে খুন করেছে। ১ মাসের মত এলাকাছাড়া হওয়া জনাকয়েক অপরাধী ফিরে এসেছে এলাকায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানে, ঘটনাটি ঘটিয়েছে কুখ্যাত রাজেশ বায়ানিয়া গ্যাং। ২৬ এপ্রিল গভীর রাতে দিল্লির বাইরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ধরা পড়ে জসবীর দাবাস, দেবেন্দ্র কুমার ও মনজিত নামে ৩ অভিযুক্ত।

জেরায় তারা স্বীকার করে নেয়, কাঞ্ঝাওলা এলাকায় তারা ওই দুজনকে খুন করেছে।

১৮ ফেব্রুয়ারি মদনপুর দাবাসের একটি গ্রামে মাঠে বসে তারা মদ্যপান করছিল। সঙ্গে ছিল বিকাশ ও মোহিত নামে আরও দুজন। মনজিত চলে গেলে তারা আবিষ্কার করে, দুই পুরুষ, মহিলা মাঠে বসে। তখন তারা সেখানে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণ করে। ধরা পড়ার ভয়ে প্রণয়ীর বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস বেঁধে খুন করে দুজনকেই। তবে বিকাশ ও মোহিতের এখনও খোঁজ নেই।