তিরুঅনন্তপুরম: তিরুঅনন্তপুরমের কিলিমানুর গ্রামের নাবিশার লটারির টিকিট কাটাটা নেশা। লেখাপড়া শেখেননি, অন্য কোনও দিকে রোজগারের সম্ভাবনাও নেই। অথচ বাড়িতে হাঁ করে আছে দারিদ্র, অসুস্থ মা আর খোঁড়া বোনের সংসার চালাতে হয় তাঁকে। তাই হাতে একটু পয়সা এলেই লটারির টিকিট কাটতেন রাবার ক্ষেতের এই তরুণী শ্রমিক। ওটা অনেকটা অভ্যাসের মত হয়ে গিয়েছিল, টাকা উঠুক বা না উঠুক, কেরল রাজ্য লটারির টিকিট কাটতে ভুল হত না তাঁর।


অথচ ভাগ্য কীভাবে যেন একদিন খুঁজে নিল নাবিশার ভাঙাচোরা ঘরটাকে। ‘স্ত্রী শক্তি’ লটারিতে ১ কোটি টাকা উঠেছে তাঁর নামে। আনন্দে, বিস্ময়ে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না নাবিশা। শুধু বলেছেন, খোঁড়া বোনটাকে একটা স্টেশনারি দোকান করে দেবেন আর জমি কিনে বাড়ি করবেন একটা।

সাপ্তাহিক এই ‘স্ত্রী শক্তি’ লটারি চালু করে আগের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ সরকার। টিকিটের দামও বাড়িয়ে করে ৪০-এ বদলে ৫০ টাকা। বলে ওই টাকা দরিদ্র মহিলাদের সাহায্যে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু লটারির টিকিটেই যে রাবার ক্ষেতের এক সামান্য মহিলা কর্মীর ভাগ্য বদলে যাবে, তা কেউ ভাবেনি।

নাবিশা জানিয়েছেন, বারবার লটারির টিকিট কাটার ফলশ্রুতি হিসেবে এর আগেও দুবার ৫০০০ টাকা করে জিতেছেন তিনি, কয়েকবার পেয়েছেন ১০০০ টাকা। কিন্তু দুম করে একেবারে ১ কোটি টাকা পেয়ে যাওয়ার স্বপ্ন তিনি ঘুমিয়ে তো দূরের কথা, চোখ খুলেও কখনও দেখেননি।