সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে নিহত মহিলা প্রিয়া মেহেরা গুরুদ্বারা থেকে স্বামী পঙ্কজ মেহেরা এবং দুবছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পরিবারটি নিজেদের গাড়িতেই ছিলেন। এমন সময় অপর একটি গাড়ি এসে তাঁদের গাড়িটিকে ওভারটেক করে দাঁড়ায়। সেই গাড়ির মধ্যে থাকা দুষ্কৃতীরা পঙ্কজকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গুলির আঘাতে গুরুতর জখম হন প্রিয়া। ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকমে দুবছরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন পঙ্কজ। মৃত্যু হয় প্রিয়ার।
দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলে, প্রিয়াকে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে গেলে, চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে প্রিয়ার পরিবারের তরফে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুজনের বিরুদ্ধেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রিয়ার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ না আসলে তারা আক্রান্ত মহিলার চিকিত্সা করবে না বলে জানিয়েছিল। এদিকে পুলিশের তরফে যে এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকা কার অধীনে সেই নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। সেইজন্যে চিকিত্সা শুরু হতে বিলম্ব হয়। প্রিয়া গৃহবধূ ছিলেন এবং পঙ্কজ পাহাড়গঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী ছিলেন।