বিলাসপুর: চোরেরা বাড়ি ঢুকে সোনাদানা, নগদ অর্থ মূল্যবান জিনিসপত্র বা জামাকাপড় চুরি করে নিয়ে গিয়েছে—এমনটা তো হামেশাই হয়ে থাকে।
কিন্তু, তাই বলে শৌচাগার ‘চুরি’! এমন অভিযোগ কেউ আগে শুনেছেন বলে তো মনে হয় না। যদিও, পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন ছত্তিশগড়ের এক মহিলা। খবরে প্রকাশ, বিলাসপুরের অমরপুর গ্রামের নিবাসী এক বৃদ্ধ মহিলা ও তাঁর কন্যা অভিযোগ করেন, তাঁদের বাড়ি থেকে শৌচাগার ‘চুরি’ গিয়েছে।
গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে ৭০ বছরের বেলাবাঈ পটেল ও তাঁর ৪৫ বছরের মেয়ে চন্দা দাবি করেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতায় তাঁরা দুটি শৌচাগার নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করেছিলেন।
বেলাবাঈ ও তাঁর মেয়ে দারিদ্র সীমার নীচে (বিপিএল) তালিকাভুক্ত। দুজনের স্বামীই মারা গিয়েছেন। একই বাড়ির দুই দিকে থাকেন তাঁরা। সবদিক বিচার করে তাঁদের আবেদন অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় পেন্দ্রার জন পঞ্চায়েতে।
কিন্তু, এক বছর পার হওয়ার পরও কাজ শুরু না হওয়ায় জন-পঞ্চায়েত দফতরে পৌঁছন বেলাবাঈ ও তাঁর মেয়ে। বৃদ্ধার দাবি, সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, সরকারি খাতায় দেখানো হয়েছে, তাঁদের শৌচাগার নির্মাণ হয়ে গিয়েছে।
এরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন দুজন। বেলাবাঈয়ের দাবি, ‘চুরি’ হওয়া শৌচাগার উদ্ধার করতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি, ‘চোরদের’ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও তুলেছেন তিনি।