জয়পুর: ভোট দিকে আসার সময় প্রয়োজন নেই ঘোমটা টানার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজস্থানে গ্রামীণ মহিলাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই মর্মে নতুন প্রচার শুরু করল মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দপ্তর।  বিভিন্ন সমাজকর্মী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত ভোটের কর্মকর্তারা এই সচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ নেন।

সংবাদমাধ্যমকে জয়পুরের নারীর ক্ষমতায়ন বিভাগের প্রধান পি সি পবন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত ঘোমটায় মুখ ঢাকার রীতি বিলোপের কথা বলার পরই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমাজকর্মীরা গ্রামীণ মহিলাদের ঘোমটা না টানার জন্য বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে আসার সময় ঘোমটায় মুখ ঢাকতে বারণ করা হচ্ছে মহিলাদের। একইভাবে শিকারেও ঘোমটা প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা চলছে।

শিকারের নারীর ক্ষমতায়ন বিভাগের উপপ্রধান অনুরাধা সাকসেনা জানান, 'ঘোমটায় মুখ ঢাকার প্রথা বিলোপ করতে নারী ও পুরুষ উভয়েরই সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। বিশেষ করে ভোট দেওয়ার সময় ঘোমটা টানার অভ্যাসের পরিবর্তন ভীষণ জরুরি। তিনি আরও জানান, আমাদের একেবারে তৃণমূল স্তরের কর্মীরা প্রতি শুক্রবার আঞ্চলিক মহিলা ও বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনাসভার আয়োজন করছেন।'  সচেতনতা বাড়াতে গ্রামে গ্রামে দেওয়া হবে পোস্টার। এমনকি ব্যবহার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়াকেও।

নারীর ক্ষমতায়নের পথে ঘোমটায় মুখ ঢাকার প্রথা অন্তরায় বলে মনে করেন গেহলত। আর তাই 'ঘুঙ্গট হঠাও' বা ঘোমটা সরাও স্লোগানকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে রাজস্থানে।