হায়দরাবাদ:  সিদ্দিপেট জেলার এক সমাধিস্থলে খনন কার্য চালিয়ে সেখান থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্যাপস্টোনের সন্ধান পেল তেলঙ্গানার প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তেলঙ্গানার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর ডি রামুলু নায়েকের দাবি, সিদ্দিপেট জেলার নানগুনুরু মণ্ডলে নারমেতা গ্রামে এই অসাধারণ আবিষ্কার সকলকেই চমকে দিয়েছে। এই ক্যাপস্টোনের ওজন ৪০ টন।

এই ক্যাপস্টোনটি তোলার জন্যে একটি বিশালাকার ক্রেন আনা হয়। গত ২১ মার্চ এটি তোলা হয়েছে। যথেষ্ট নিষ্ঠা ও সাবধানতার সঙ্গে পাথরটি তোলা হয়েছে। এই পুরো বিষয়টি দেখভাল করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদ এস এস রঙ্গাচারিয়ালু এবং সেখানকার জাদুঘরের অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর কে পদ্মনাভ।

এবার ওই পাথর এবং ওই অঞ্চল থেকে উদ্ধার অন্যান্য জিনিষের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হবে। সেখান থেকে জানা যাবে সেসময়ের মানুষ কেমন ছিল, তাদের খাদ্যাভ্যাস কেমন ছিল, জীবনধারা কেমন ছিল এবং তারপর তারা অবলুপ্ত হল কেন?

প্রসঙ্গত, গতবছরই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-এর একদল বিশেষজ্ঞ মাটির তৈরি একটি সিগনেট উদ্ধার করে। সূত্রের দাবি, সেটি প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো কোনও শিল্পকর্ম। তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা জেলার কিজহাডি পাল্লাই সন্ধাইপুদুর গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় এই শিল্পকর্মটি। এএসআই আধিকারিকদের দাবি, গ্রামের যে জায়গা থেকে ওই সিগনেটটি উদ্ধার হয়, সেটা একটি জাতীয় সড়কের ওপর অবস্থিত। ওই এলাকায় এক সময় সারা দুনিয়া থেকে ব্যবসায়ীরা এসে ভিড় জমাতেন। সেখানকার ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা এতটাই উন্নতমানের ছিল, যে তার সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার তুলনা করা যায়। ওই নিকাশি নালায় পোড়া মাটির পাইপ লাইন ছিল।