অমিত শাহর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত হোক, বিজেপি ভুল করছে, বললেন যশবন্ত
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 11 Oct 2017 01:52 PM (IST)
পটনা: কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন যশবন্ত সিনহা। এবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর ছেলে জয় শাহর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়েও মুখ খুললেন অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী। বিজেপির প্রবীণ নেতা বলেছেন, এই ঘটনায় নৈতিকতার দিক থেকে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে দল। জয় শাহর ব্যবসায়ির শ্রীবৃদ্ধি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তার মোকাবিলায় বিজেপি একের পর এক ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন যশবন্ত। তিনি বলেছেন, অমিত শাহর ছেলেকে বাঁচাতে মন্ত্রীদের নামানো, জয় শাহর হয়ে সরকারি আইনজীবী তুষার মেহতাকে কোর্টে সওয়াল করার অনুমতি দেওয়া বিজেপির পক্ষে ভুল হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর জয় শাহর ব্যবসার আয় ১৬ হাজার গুণ বেড়েছে বলে সংবাদ ওয়েবসাইট দ্য অয়্যারে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়। এই ঘটনার পর দ্য অয়্যার-এর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন জয় শাহ। দ্য অয়্যার-এর প্রতিবেদনে জয় শাহর সংস্থাকে বিনা শর্তে ঋণ দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ঋণদাতাদের মধ্যে রয়েছে একটি সরকারি সংস্থা, যা কেন্দ্রের শক্তি মন্ত্রকের অধীনস্ত। যশবন্ত বলেছেন, যে ভাবে জয় শাহকে শক্তি মন্ত্রক ঋণ দিয়েছে এবং যে ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল বিজেপি সভাপতির ছেলেকে আড়াল করেছেন, তার থেকে একটা ধারনা তৈরি হয়েছে যে, কোথাও একটা বেনিয়ম ঘটেছে। যশবন্ত আরও বলেছেন, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে কোনও সরকারের বাইরের কোনও ব্যক্তির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন, এই ঘটনা এর আগে কোনওদিন হয়নি। উল্লেখ্য, মেহতা জানিয়েছেন, জয় শাহকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি এবং এক্ষেত্রে ছাড়পত্রও পেয়ে গিয়েছেন। যশবন্ত বলেছেন, এই অভিযোগের সঙ্গে সরকারের বহু বিভাগের নাম জড়িয়ে গিয়েছে।তাই সরকারের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া দরকার। যশবন্ত বলেছেন, বিজেপি দুর্নীতি বরদাস্ত না করার কথা বলে। এই ঘটনায় নৈতিকতার দিক থেকে ধাক্কা খেয়েছে দল। উল্লেখ্য, গতমাসে আর্থিক বৃদ্ধির হারের পতন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি নোট বাতিল ও জিএসটি রূপায়ণের পদ্ধতির সমালোচনা করেছিলেন। এর জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তাঁকে '৮০ বছরের কর্মপ্রার্থী' বলে কটাক্ষ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আর্থিক নীতির সমালোচকদের 'নিরাশাবাদী' বলে তোপ দেগেছিলেন।