মুম্বই:  কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনায় ফের মুখর হলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। ‘রাজশক্তি’র রাশ টেনে ধরতে লোকশক্তির প্রয়োজনীয়তার কথাও বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে কৃষকদের স্বার্থে কর্মরত এক এনজিও-র অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নোট বাতিল ও জিএসটি-র রূপায়ণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন যশবন্ত।

সমাজবাদী নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে যশবন্ত ‘রাজশক্তি’ বা সরকারের রাশ টেনে ধরতে ‘লোকশক্তি’ বা গণআন্দোলন শুরুরও আর্জি জানিয়েছেন যশবন্ত। তিনি বলেছেন, বিদর্ভের আকোলা থেকেই শুরু হোক গণ আন্দোলন।

যশবন্তের দাবি, দেশ ইতিমধ্যেই মন্দার কবলে পড়েছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই একটি সংবাদপত্রে নিবন্ধে মোদী সরকারের আর্থিক নীতির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে যশবন্ত বলেছেন, মানুষের অনুভূতির কথাই তিনি জানিয়েছিলেন।

যশবন্তের লেখা নিবন্ধে সমালোচনার জবাব কয়েকদিনের মধ্যেই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যদিও তিনি কারুর নাম উল্লেখ করেননি। তথ্য পরিসংখ্যান উল্লেখ করে সমালোচকদের বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন মোদী।

এই প্রসঙ্গে যশবন্ত বলেছেন, সংখ্যা দিয়ে যে তথ্য প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় সেই সংখ্যা দিয়েই আবার অন্য দিকটিও প্রমাণ করা যায়।

মোদীকে একহাত নিয়ে যশবন্ত বলেছেন, কেন্দ্রে সরকারের প্রধান তাঁর সাম্প্রতিক এক ঘন্টার ভাষণে সংখ্যা দেখিয়ে প্রমাণ করতে চাইলেন যে, ভারতের অগ্রগতি ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বিক্রি বেড়েছে।

যশবন্তের প্রশ্ন, এর মানে কি দেশের অগ্রগতি ঘটছে। তিনি বলেছেন, বিক্রি হয়ত বেড়েছে। কিন্তু উত্পাদন কি হচ্ছে?

নোট বাতিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন যশবন্ত। তিনি বলেছেন, ‘যখন আমরা বিরোধী আসনে ছিলাম তখন অভিযোগ করতাম যে, তত্কালীন সরকার কর-সন্ত্রাস ও হানা-রাজ চালাচ্ছে। কিন্তু এখন কী চলছে! এটাকে সন্ত্রাস ছাড়া অন্য কিছু শব্দে ব্যাখ্যা করা যায় না’।

যশবন্ত আরও বলেছেন, জিএসটি ‘গুড অ্যান্ড সিম্পল ট্যাক্স’ হতে পারত। কিন্তু যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছেন তাঁরা বিষয়টিকে ‘ব্যাড অ্যান্ড কমপ্লিকেটেড ট্যাক্স’ করে তুলেছেন।

যশবন্ত আরও বলেছেন, তাঁর রাজ্য ঝাড়খণ্ডে কৃষকরা আত্মহত্যা করতেন না। কিন্তু তাঁর জানা নেই এমন কী ঘটল যে, সেখানেও কৃষকরা আত্মহত্যা করছেন।