যশবন্ত বলেছেন, পুলিশ আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে। তবুও আমরা এখান থেকে নড়ব না। পুলিশ যেখানে খুশি নিয়ে যাক আমাদের। কিন্তু আমাদের দাবিগুলি না মেটা পর্যন্ত প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। কীটপতঙ্গের হানায় নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে গতকালের কয়েকশ তুলো ও সয়াবিন চাষির মিছিলে ছিলেন তিনি। সরকারের কাছে তাদের পুরো ফসল সংগ্রহের দাবিও করেন চাষিরা।
এক শীর্ষ পুলিশ অফিসার জানান, তিন ঘন্টার ওপর রাস্তা অবরোধ করে তাদের জেলা কালেক্টরের দপ্তরে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় গতকাল বিকালে কয়েকশ চাষির সঙ্গে যশবন্তকে আটক করা হয়। রাতে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁরা চলে যেতে রাজি হননি। আজ সকালে প্রবীণ বিজেপি নেতা যশবন্ত একটি সংবাদ চ্যানেলকে বলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফঢ়নবীশের সঙ্গে আমার বাক্যালাপ নেই। উনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, আমিও ওঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করিনি। আমি দলীয় রাজনীতি করতে আসিনি। কৃষকদের স্বার্থ দেখা হবে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা। গতকালের কৃষক সমাবেশে তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ৫০ শতাংশ বেশি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গদিতে বসেই তা বেমালুম ভুলে গিয়েছে।
সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রকাশ্যেই বিরোধিতা করেছেন যশবন্ত। কেন্দ্রের জিএসটি রূপায়ণে ভুল আছে বলেও দাবি করেন।
এদিকে মমতা ট্যুইট করেন, যশবন্ত সিনহা চাষিদের হয়ে লড়ছেন। তাঁকে আমাদের পূর্ণ সমর্থন। আমি ওনার শারীরিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। আমাদের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে ওনার কাছে পাঠাচ্ছি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি দিল্লির আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, কেন যশবন্ত সিনহাকে গ্রেফতার করা হল? পাগলামো। অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে ওনাকে।
পাশাপাশি বিজেপির শরিক জেডি (ইউ)-এর জাতীয় মুখপাত্র পবন কে ভার্মাও বলেন, বিদর্ভের তুলো, সয়াবিন চাষিদের প্রতি সরকারি উদাসীনতার প্রতিবাদ করার অপরাধে একটি বিজেপি সরকারের নির্দেশে আকোলায় বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহার গ্রেফতারিতে উদ্বিগ্ন।