নয়াদিল্লি: 'রাষ্ট্র মঞ্চ' নামে নতুন সংগঠন খুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। বর্তমান মোদী সরকারের প্রায় সব নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সরব এই প্রবীণ বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, নয়া রাজনৈতিক মঞ্চের মাধ্যমে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হবে। সূচনার দিনই যশবন্তের মঞ্চে যোগ দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।
পটনা সাহিবের এম পি বলেন, দলে নিজের মত প্রকাশের জায়গা পাননি, তাই তিনি এই মঞ্চে যোগ দিলেন। শত্রুঘ্নর দাবি, যশবন্তের মঞ্চে সামিল হয়ে তিনি কোনও দলবিরোধী কাজ করছেন না, কেননা এটা জাতীয় স্বার্থেই।
এদিন রাষ্ট্র মঞ্চ-র ভূমিষ্ঠ হওয়ার অনুষ্ঠানে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, কংগ্রেস সাংসদ রেনুকা চৌধুরি, এনসিপি-র মজিদ মেমন, আমআদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহ, গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুরেশ মেহতা ও জনতা দল (ইউ) নেতা পবন ভার্মা। ছিলেন আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরি ও প্রাক্তন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোম পাল ও হরমোহন ধাওয়ানও।
যশবন্ত দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে ৭০ বছর আগের পরিস্থিতির তুলনা করেন, যখন আজকের দিনেই নিহত হয়েছিলেন মহাত্মা গাঁধী। বলেন, গণতন্ত্র ও তার প্রতিষ্ঠানগুলি আজ আক্রান্ত। নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষকদের 'ভিখারীর স্তরে' নামিয়ে এনেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি, দাবি করেন, এই সরকার নিজেদের স্বার্থ পূরণে 'সাজানো' পরিসংখ্যান হাজির করছে।
তবে যশবন্ত এও জানান, রাষ্ট্র মঞ্চ হবে একটি দলহীন রাজনৈতিক অ্যাকশন গোষ্ঠী। এটি কোনও দলের বিরুদ্ধে নয়, তবে জাতীয় ইস্যুগুলিকে সামনে তুলে আনতে সচেষ্ট থাকবে। বলেন, এটি কোনও দল নয়, জাতীয় আন্দোলন।
মোদী সরকারের আর্থিক ও বিদেশ নীতিকে আক্রমণ করে যশবন্ত বলেন, বিজেপিতে সবাই ভয়ে ভয়ে রয়েছে। আমরা কিন্তু নই। সেইসঙ্গে এখন দেশে যাবতীয় আলোচনা, বিতর্ক 'একতরফা, আক্রমণাত্মক ও বিপজ্জনক' চেহারা নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, জনতার হাতেই বিচারের ভার এসে পড়েছে বলে মনে হয়।
কৃষক স্বার্থকেই তিনি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলে জানান এই ৮০ বছর বয়সি নেতা, যিনি প্রথম এনডিএ সরকারের অর্থ ও বিদেশমন্ত্রক সামলেছেন।