নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণের জবাব দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। বললেন, আমি শল্য নই, ভীষ্ম। ভীষ্ম তো কথা বলেননি। কিন্তু আমি বলবই। অর্থনীতির বস্ত্রহরণ হতে দেব না।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে প্রশ্নকারীদের হতাশাগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে মহাভারতের চরিত্র শল্যর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় কর্ণের সারথী ছিলেন শল্য। তিনি যুদ্ধের সময় কর্ণকে নিরুত্সাহিত করতেন।

এভাবে সমালোচকদের প্রধানমন্ত্রী নিশানা করার পর তার জবাবে অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মহাভারতের সমস্ত ধরনের চরিত্র রয়েছে। শল্যও তাঁদের মধ্যে একজন। শল্য কীভাবে কৌরবদের দলে গেলেন, সেই কাহিনী সবারই জানা। শল্য পঞ্চপাণ্ডবের দুই পান্ডব নকুল ও সহদেবের মামা। তিনি পাণ্ডবদের শিবিরেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্যোধনের প্রতারণার শিকার হলেন। মহাভারতের অন্য এক চরিত্র পিতামহ ভীষ্ম। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় তিনি নীরব ছিলেন। কিন্তু এখন অর্থনীতির বস্ত্রহরণ হল আমি বলবই।

যশবন্ত বলেছেন, তাঁর মন্তব্যের জবাব যে প্রধানমন্ত্রী দেবেন, তা তাঁর জানা ছিল না। তিনি বলেছেন, পরিসংখ্যান দেখানো খুবই বিপজ্জনক। কোনও একটি পরিসংখ্যান দিয়ে কিছু প্রমাণের চেষ্টা হলে তিনি তার পাল্টা বিষয়ের প্রমাণ দেবেন। তাই পরিসংখ্যান নয়, বাস্তবতার দিকে মোদীকে নজর ঘোরানোর পরামর্শ দিয়েছেন যশবন্ত।

জিডিপির হারের নিম্নগতি নিয়ে সমালোচনার জবাবে গতকাল মোদী বলেছিলেন, ইউপিএ জমানাতেও আট বার তা হয়েছে। এর জবাবে যশবন্ত বলেছেন, এটা কোনও একটি ত্রৈমাসিকের ব্যাপার নয়। গত ছয়টি ত্রৈমাসিকেই বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী।

যশবন্ত বলেছেন, ২০১৯-র ভোটের সময় ভোটাররা মোদী সরকারের সঙ্গে ইউপিএ সরকারের তুলনা করবেন না। তাঁরা ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি নিয়ে প্রশ্ন করবেন। ভোটের সেই প্রচার কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মতো এক তরফা হবে না। মানুষের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।