বেঙ্গালুরু: আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কর্নাটক বিধানসভায় আস্থাভোটে শক্তিপরীক্ষার আগের দিন বিজেপি বিধায়ক কে জি বোপাইয়াকে বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার নিযুক্ত করে ফের বিতর্কে রাজ্যপাল বজুভাই ভালা। সুপ্রিম কোর্ট বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে তাঁর ইয়েদুরাপ্পাকে দেওয়া ১৫ দিনের সময়সীমার পরিবর্তে কালই বিকাল ৪ টায় আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে বলার কয়েক ঘন্টা বাদেই তিনবারের বিধায়ক বোপাইয়াকে প্রোটেম স্পিকার করে দেন ভালা। কর্নাটকের বিরাজপেট কেন্দ্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বোপাইয়া আগে প্রোটেম স্পিকার, স্পিকার, দুই-ই হয়েছেন।
আস্থাভোটের প্রাক্কালে তাঁর প্রোটেম স্পিকার হওয়াটা অত্যন্ত তাত্পর্য্যপূর্ণ, কেননা তিনি বিজেপির বিধায়ক এবং প্রয়োজনে আস্থাভোটে টাই হলে তিনি ভোট দেবেন।
কংগ্রেস তাঁকে কালকের আস্থাভোটের ২৪ ঘন্টা আগে প্রোটেম স্পিকার পদে বসানোর তীব্র বিরোধিতা করে বলেছে, তাদের বিধায়ক আর ভি দেশপান্ডে ৮ বারের জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য, রাজ্যপালের তাঁকেই উচিত ছিল প্রোটেম স্পিকার করা।
নতুন বিধায়কদের শপথ নেওয়াতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিধানসভায় আস্থাভোট পরিচালনা করতেই বোপাইয়াকে প্রোটেম স্পিকার করা হল। পুরানো আরএসএসের লোক বোপাইয়া মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ২০০৯ ও ২০১৩-য় তিনি বিধানসভার স্পিকার ছিলেন। ২০১১-য় ইয়েদুরাপ্পা সরকারকে বিপদ থেকে বাঁচাতে তিনি আস্থাভোটের আগে ১১ বিক্ষুব্ধ বিজেপি ও ৫ নির্দল বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন। তাঁর সেই পদক্ষেপ কর্নাটক হাইকোর্ট বহাল রাখলেও খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, তিনি তাড়াহুড়ো করেছেন।
কংগ্রেসের মত, সাংবিধানিক রীতি অনুসারে সবচেয়ে সিনিয়র সদস্যেরই ওই পদ পাওয়া উচিত। সু্প্রিম কোর্টও তাঁর আচরণে আপত্তি জানিয়েছিল। এটা দুঃখজনক যে, বজুভাই ভালা তাঁকে বেছে নিয়ে বিজেপির এজেন্টের মতো আচরণ করছেন।
কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট বোপাইয়ার প্রোটেম হওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তারা পিটিশন দিয়ে শীর্ষ আদালতে
বলতে পারে, উনি বিধানসভার সবচেয়ে সিনিয়র বিধায়ক নন, রাজ্যপালের তাঁকে ওই পদে বসানো উচিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, আজ সুপ্রিম কোর্ট কাল বিকেলে বিধানসভায় আস্থাভোট করতে বলে চারটি পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়, যেগুলি আস্থাভোট করতে গেলে দরকার। যেমন এখনই একজন প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করতে হবে, কালই সব নতুন বিধায়কের শপথ গ্রহণ করাতে হবে।
বিচারপতি এ কে সিক্রি, বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ আরও নির্দেশ দেয়, আস্থাভোটের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আয়োজনের নিজে তদারকি করবেন কর্নাটক পুলিশের ডিজি, যাতে এ ব্যাপারে কোথাও কোনও গলদ না থাকে।