বেঙ্গালুরু: বেআইনি আকরিক লোহা উত্তোলন সংক্রান্ত ৪০ কোটি টাকা ঘুষ মামলায় রেহাই পেলেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতাকে স্বস্তি দিল বিশেষ সিবিআই আদালত।  তাঁর পাশাপাশি এই মামলায় ফৌজদারি চক্রান্ত, দুর্নীতি, জালিয়াতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইয়েদুরাপ্পার দুই ছেলে বি ওয়াই রাঘবেন্দ্র, বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র ও মেয়ে জামাই সোহন কুমারও। বিশেষ আদালতের বিচারক আর বি ধর্মাগাওদার আরও বেশ কয়েকজনকে খালাস করে দিয়েছেন।


প্রসঙ্গত, এই মামলায় তত্কালীন লোকায়ুক্ত সন্তোষ হেগড়ে দোষী সাব্যস্ত করায় ২০১১ সালে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়াতে হয়েছিল ইয়েদুরাপ্পাকে। সে বছর প্রায় তিন সপ্তাহ জেলেও কাটাতে হয়। যদিও জামিন পান তিনি।

২০১৫-র অক্টোবরে ইয়েদুরাপ্পা, তাঁর দুই ছেলে, মেয়ে জামাই, বেল্লারির একটি বেসরকারি ইস্পাত কোম্পানি ও ইয়েদুরাপ্পার পরিবার পরিচালিত শিমোগার একটি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে চার্জশিট দেয় সিবিআই।  তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, জালিয়াতি,  দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। চার্জশিটে বলা হয়, ৪০ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন হয়েছে। ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে মাইনিং লাইসেন্স সহ সরকারি দাক্ষিণ্যের বিনিময়ে ২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবারের চালানো একটি ট্রাস্টকে।

এদিন যাবতীয় অভিযোগের হাত থেকে রেহাই পেয়ে ইয়েদুরাপ্পার প্রতিক্রিয়া, সত্যমেব জয়তে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলাম। ট্যুইট করে তিনি বলেন, আমি খুশি কেননা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যাবতীয় মিথ্যা অভিযোগ খারিজ হয়ে গিয়েছে।

২০০৮ সালে তিনিই দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যে বিজেপিকে প্রথম ক্ষমতায় ফেরানোর কারিগর ছিলেন। ফের তাঁর হাত ধরেই কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরার প্ল্যান কষছে তারা। সেজন্য গত এপ্রিলেই তাঁর হাতে রাজ্যে দলের ভার সঁপেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই প্রেক্ষাপটে এদিনের রায়ের পর তিনি এও বলেন, লাখ লাখ বিজেপি কর্মীও স্বস্তি পেলেন। তিনিও আরও চাঙ্গা হবেন এবার। দলের কর্মীরাও বাজি পুড়িয়ে, বিজয়োল্লাসে ফেটে পড়েন।