নয়াদিল্লি:  যোগাভ্যাসের ফলে মেদ ঝরছে, ওজন কমছে বাহিনীর জওয়ানদের, জানালেন বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল  কে কে শর্মার। সম্প্রতি যোগব্যায়াম চালু হয়েছে সীমান্ত  রক্ষী বাহিনীতে। তার সুফল মিলছে, দাবি ডিজি-র। আধাসামরিক বাহিনীর ৫১-তম উত্থান দিবসের প্রাক্কালে তিনি সাংবাদিকদের  বলেছেন, যোগ আর প্রাণায়াম স্বাস্থ্যচর্চার সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম বলে তিনি মনে করেন। সেইমতো নিয়মিত শারীরিক ট্রেনিংয়ের পরিবর্তে বাহিনীতে কিছুদিন আগেই যোগাভ্যাস চালু করা হয়েছে।


যোগব্যায়ামে কী লাভ হয়েছে, ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, দৌড়ঝাঁপ ও অন্যান্য কসরতের ফলে শুধু শরীরের নির্দিষ্ট কয়েকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গই সচল, চাঙ্গা হয়। আর যোগের নানা মুদ্রা, আসনে শরীরের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করতে হয়।  সেগুলি সঙ্কুচিত, প্রসারিত  হয়। ফলে রক্ত চলাচল বাড়ে।  যার প্রভাবে শরীর শুদ্ধ হয়। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি উজ্জীবিত হয়। সেজন্যই আমরা পি টি, ড্রিলের পরিবর্তে যোগব্যায়ামের দিকে ঝুঁকেছি। এতে জওয়ানদের সার্বিক বিকাশ হচ্ছে। ওদের গড় ওজন কিছুটা কমেছে। যদিও যোগাভ্যাসের সামগ্রিক ফল পাওয়া যাবে ৬ মাস বাদে।


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিএসএফের ১৯ হাজার জওয়ানকে যোগের ট্রেনিং দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যোগগুরু বাবা রামদেবের হরিদ্বারের আশ্রমে।  রামদেবের তদারকিতে তাঁরা যোগব্যায়াম করেন।