অযোধ্যা: অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে বিশালাকার রামের মূর্তি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের। প্রসঙ্গত, নভ্য অযোধ্যা তৈরি করছে আদিত্যনাথ সরকার। সেই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এই মূর্তি নির্মাণের প্রস্তাব। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েকের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছে সেখানকার সরকার। মূলত, রাজ্যের ধর্মীয় পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্যকেন্দ্রের মধ্যে থাকবে রামের এই মূর্তি। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ১০০ মিটার লম্বা মূর্তি গড়ার, যদিও উচ্চতা এটাই হবে কিনা সেব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যের পর্যটন দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি অবণীশ কুমার অবস্তি মূর্তি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন প্রকাশ করেছেন।

ওই প্রেজেন্টেশনে বলা আছে, সরযূ ঘাটে মূর্তি নির্মাণের কাজ শুরু হবে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল থেকে অনুমতি পাওয়ার পরই। তবে শুধু মূর্তি নয়, নদীর ঘাটে তৈরি হবে রাম কথা গ্যালারি। দীগাম্বারা আখরা চত্বরে তৈরি হবে একটি অডিটোরিয়াম। অযোধ্যার সম্পূর্ণ বদলের জন্যে ১৯৫.৮৯ কোটি টাকা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্র এই প্রকল্পের জন্যে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩৩.৭০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে।

সূত্রের খবর, ওই প্রেজেন্টেশনে দিওয়ালিতে কী কী অনুষ্ঠান করবে আদিত্যনাথ সরকার, সেই সংক্রান্ত তথ্যও আছে। আগামী ১৮ অক্টোবর দিওয়ালির অনুষ্ঠান পালন করা হবে। সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল নায়েক, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী কে.জে.আলফানসো।

১৮ অক্টোবর দিওয়ালির অনুষ্ঠানে দীপোৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে আদিত্যনাথ সরকারের। সেই উৎসবে ১.৭১ লাখ মাটির প্রদীপ জ্বালানো হবে বিতর্কিত এলাকা থেকে দু কিমি দূরে।এছাড়া একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে, যেটাকে ভগবান রামের আবির্ভাবের অনুষ্ঠান হিসেবে দেখা হবে। এছাড়া আরও বেশ কিছু প্রকল্পের যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল। সরযূ নদীর তীরে নতুন একটি ঘাটে করা হবে আরতি। সেখানে ইন্দোনেশিয়া এবং তাইল্যান্ড থেকে আসা শিল্পীরা রাম লীলা মঞ্চস্থ করবেন।