পিটিআই সূত্রে খবর, এধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নেপথ্যে মূলত যে ভাবনা রয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সেটা হল প্রশাসনকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। মানুষের সমস্যাকে আরও কাছ থেকে দেখা, সমস্ত স্থানীয় ঘটনাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা। এইধরনের কিছু ভাবনাই রয়েছে বিভিন্ন শহরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের নেপথ্যে। তবে উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভার এক প্রবীণ মন্ত্রীর দাবি, এই ভাবনা যদিও এখনও একদম প্রাথমিক স্তরে রয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মার দাবি, মন্ত্রিসভার বৈঠক যে সবসময় রাজ্যের রাজধানীতেই হতে হবে এমন কোনও কথা নেই। রাজ্যের যেকোনও জায়গাতেই হতে পারে সেই বৈঠক।
ক্ষমতায় আসার ঠিক ১৫ দিন বাদে গত মঙ্গলবার এই মন্ত্রিসভার প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকটি হয়। সাধারণত সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীরাই ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মন্ত্রিসভার প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকটি ডাকেন। প্রসঙ্গত, যেদিন যোগী আদিত্যনাথ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্যে ঋণ মকুবে প্রস্তুত হয়েছেন, সেদিনই বৈঠক ডাকেন। এরমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারের সময় মোদীর করা প্রতিশ্রুতিও তিনি রাখতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক স্তরে সমস্ত আধিকারিকদের সর্বক্ষণের নজরদারিতে রেখেছেন। যখন তখন বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়, থানাতে নজরদারি করতে চলে গেছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মূল লক্ষ্যই হল পুরো কাজ করার প্রক্রিয়াটাই বদলে ফেলা।
সূত্রের খবর, ইলাহাবাদে অর্ধ কুম্ভ মেলার সময় পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকটি ডাকতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ। এভাবেই তিনি রাজ্যের বিভিন্ন শহরে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার ওপরও নজর রাখতে চাইছেন। এমনকি নয়া মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশেও দিয়েছেন, মেলার সময় যেভাবেই হোক গঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখা। এই সময় ইলাহাবাদের সঙ্গমে প্রায় ১২ কোটি ভক্তের সমাগম ঘটে।