শ্রীনগর: কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে পুলিশ অফিসারের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, ভয় দেখানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জঙ্গিদের চরম হুঁশিয়ারি জম্মু কাশ্মীর পুলিশের। বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল এসপি বৈদ জানিয়ে দিয়েছেন, জঙ্গিরাও যেন এটা ভুলে না যায়, ওদেরও পরিবার আছে। এবার থেকে ওরাও যেন তৈরি থাকে। ওরা কিন্তু পরিবারের সম্মতি নিয়ে সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দেয়নি। এবার পুলিশও ওদের মতো আচরণ করলে ওদের পরিবারগুলির কী হবে? অর্থাত্ জঙ্গিরা পুলিশকর্মীদের পরিবারকে নিশানা করলে পাল্টা তাদের বাড়ির লোকজনও ছাড় পাবে না, পরোক্ষে এই বার্তাই দিলেন ডিজি।

সোপিয়ানে ওই পুলিশ অফিসারের বাড়িতে রাতে চড়াও হয়ে জঙ্গিরা তাঁর পরিবারকে পণবন্দি করে ঘরে ভাঙচুর চালায়। তাদের দাবি, ওই অফিসারকে চাকরি ছাড়তে হবে! না ছাড়লে পরিণতি ভাল হবে না, হুঁশিয়ারিও দিয়ে যায়।
বৈদ বলেন, বিরোধটা পুলিশ আর সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে। এর মধ্যে কোনও পক্ষের পরিবারকেই জড়ানো উচিত নয়।

একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলেও প্রতিটি পুলিশকর্মীর পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান বৈদ। তাঁর বক্তব্য, পুরো উপত্যকায় বসবাস তাদের। ৮৫ হাজার পুলিশকর্মী। সকলের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা বাস্তবসম্মত ব্যাপার নয়।

গত বছরের আগস্টে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর কাশ্মীরের মাটিতে তৈরি হওয়া সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটি পুলিশকর্মীদের ফতোয়া দেয়, তারা যেন ঘরে বসে থাকে, বিক্ষোভ মোকাবিলায় নেওয়া সরকারি বন্দোবস্তে সামিল না হয়। যারা প্রশাসনিক পদক্ষেপে সামিল হবে, তাদের কপালে মৃত্যু লেখা আছে। এমনকী উপত্যকায় পুলিশে লোকজন রিক্রুটমেন্ট অভিযানের সময়ও এক শীর্ষ হিজবুল কমান্ডার কাশ্মীরী যুবকদের উদ্দেশ্যে বলে, চাকরির টোপ দিয়ে তাদের আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এতে তারা যেন যোগ না দেয়। যারা পুলিশ দলে যোগ দেবে, তাদের ফল ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেয় সে।
যদিও তাতে দমে না গিয়ে উল্টে অন্তত ৫ হাজার কাশ্মীরী যুবক পুলিসে নিয়োগের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।