মুম্বই: নৌবাহিনীর অফিসারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ নীতিন গড়করীর।সম্প্রতি দক্ষিণ মুম্বইয়ের মালাবার হিলে একটি ভাসমান জেটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে অস্বীকার করে নৌবাহিনী। সেখানে একটি ভাসমান হোটেল ও সিপ্লেন পরিষেবা চালু করার ভাবনা রয়েছে। সেজন্যই ওই জেটি তৈরির উদ্যোগ।
অনুমতি না মেলার ব্যাপারে এখানে এক অনুষ্ঠানে ওয়েস্টার্ন নাভাল কম্যান্ড প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল গিরীশ লুথরার সামনেই নৌবাহিনীর অফিসাররা কেন দক্ষিণ মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় থাকতে চান, প্রসঙ্গটি তুলে বিস্ময় প্রকাশ করেন গড়করী। বলেন, নৌবাহিনীর তো থাকার কথা সীমান্তে যেখান দিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা ঢোকে। কেন নৌবাহিনীর সবাই দক্ষিণ মুম্বইয়েই থাকতে চান? ওঁরা জমির জন্য আমার কাছে এসেছিলেন। কিন্তু ওখানে ফ্ল্যাট বা কোয়ার্টারের জন্য এক ইঞ্চিও জমি দেব না। দয়া করে আমার কাছে আর আসবেন না। দক্ষিণ মুম্বইয়ের দামী জমিতে প্রত্যেকেই কোয়ার্টার, ফ্ল্যাট তৈরি করতে চায়। আমরা নৌবাহিনীকে সম্মান করি, কিন্তু আপনাদের পাকিস্তান সীমান্তে গিয়ে পাহারায় থাকা উচিত।
তিনি জানান, সমুদ্রের যৌথভাবে মু্ম্বই পোর্ট ট্রাস্ট ও মহারাষ্ট্র সরকার সমুদ্রপারের জমিটির উন্নয়ন করছে, সেটি জনস্বার্থেই কাজে লাগবে। বলেন,আমি শুনেছি মালাবার হিলে ফ্লোটিং জেটি তৈরির পরিকল্পনায় আপনারা বাগড়া দিয়েছেন, হাইকোর্ট সম্মতি দেওয়া সত্ত্বেও।
এ ধরনের উন্নয়নে বাধা দেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বিস্ময়ের সুরে বলেন, নৌবাহিনীর কী সম্পর্ক আছে মালাবার হিলের সঙ্গে। ওখানে নৌবাহিনী কোথায়? নৌবাহিনীর ওখানে কিছুই করার নেই।
তবে বিষয়টির মীমাংসায় তিনি নৌবাহিনীকে আলোচনার ডাক দেন। প্রসঙ্গত, এলাকাটি মূলত বেসরকারি আবাসিক জোন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনও ওখানে।
গড়করি জানান, তিনি আটকে থাকা নানা পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্প সংক্রান্ত কমিটির মাথায় আছেন। এজেন্ডায় যেমন যেমন আসে, সেভাবেই সেগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তিনি বলেন, নৌ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক সরকার নয়। সরকার আমরা।