সংঘাতের আবহে শেষ পর্যন্ত বিয়েটাই হবে কিনা, এমন সংশয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দরজায় হাজির হন নরেশ। ট্যুইটারে নিজের অসহায়তার কথা জানান। সুষমা সব জেনে যাবতীয় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন তাঁকে। অভয় দিয়ে ট্যুইট করেছেন, উদ্বিগ্ন হবেন না, আমরা ভিসা দেব।
সুষমার জবাব পাওয়ার আগে পর্যন্ত তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন নরেশ। তিনি বলেছেন, পাত্রীপত্রের পরিবারের ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ফর্ম ভরে তিন মাস আগেই জমা দেওয়া হয়েছিল। আমরা জানতাম, সময় মতোই ভিসা মিলবে।
ভিসা না পেয়ে মেয়ের বাড়িতেও শুরু হয় দুশ্চিন্তা, উদ্বেগের পালা। তাঁরা যে কোনও ভাবে ভিসা জোগাড় করতে দৌড়ঝাঁপ করতে থাকেন, একে-তাকে ধরে ছোটাছুটিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ওদিকেই সময় পেরিয়ে যায়। ফলে বিয়ের জোগাড়-যন্ত্র কিছুটা মার খায়।
সুষমা ব্যবস্থা করে দেবেন, বলে দেওয়ায় ভরসা পাচ্ছেন নরেশ। তিনি বলেছেন, বিপদে, আপদে পড়ে লোকে তাঁকে ট্যুইট করে, তিনিও ত্রাতা হয়ে ওঠেন, সমস্যা মিটে যায় বলে শুনেছিলাম। সেজন্যই ওনাকে ট্যুইট করি।
নরেশের বাবা কানহাইয়া লাল ২০০১ সালে পাকিস্তান গিয়েছিলেন। দুটি দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের মিল আছে বলে মনে হওয়ায় ছেলের জন্য পাকিস্তান থেকে বউ আনবেন, তখনই মনে মনে ঠিক করে ফেলেন। কিন্তু উরি হামলা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর দুই পড়শি দেশের বর্তমান সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে তাঁর মনে হতে থাকে, হয়তো তাঁর স্বপ্নপূরণে আরও সময় লাগবে।
সুষমার উত্তরের পর এখন তিনিও আশার আলো দেখছেন। দুই সহোদর দেশের চলতি বিবাদ-বিরোধের মধ্যে হয়তো উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হয়ে উঠবে তাঁর বাড়িটাই।